জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২১শে জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার : জমি চাষ করে নৌকা করে বাড়ী ফেরার সময় নৌকা ডুবে তলিয়ে গেল। ঘটনাটি মাল মহকুমার চেংমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙাপাড়া সংলগ্ন তিস্তা নদীতে। রাতেই ডাঙ্গা পাড়া এলাকায় যায় মাল, ক্রান্তি এবং জলপাইগুড়ি পুলিশ এবং এস পি। রাত ১১ টা নাগাদ ঘটনা স্থলে যায় পর্যটন মন্ত্রী গৌতম ঘোষ এবং মালবাজারের বিধায়ক বুলুচিক বড়াইক। পুলিশ সুত্রে জানা যায় নিখোজ লোকেরা সব চেংমারো গ্রাম পঞ্চায়েতের দাসের পাড়ার লোক। জানা গেছে তিস্তা নদীর চরে তাদের জমি আছে। জমি চাষ করে নৌকা করে বাড়ী ফেরার সন্ধা নাগাদ ডাঙাপাড়ার কিছু দূরে তিস্তা নদীতে নৌকা উল্টে যায়। ঐ সাত ব্যক্তি তিস্তা নদীর জলে ডুবে যায়। খবর শুনতেই এলাকায় তিস্তা বাধের ওপর প্রচুর মানুষ একত্রিত হয়। পুলিশ সুত্রে জানা যায় এই ঘটনা রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ। বিপর্যয় মোকাবিলা দলের রেসকিউ টিমের, সদস্যরাও ঘটনা স্থলে ছুটে আসে। নিখোজ সাতজনের খোজে জোর তল্লাসী সুরু করে স্থানিয় মানুষেরা। তবে রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ জানা যায় ওই ৭ জন কৃষকই জীবিত আছে। তাদের নৌকা ডুবে যাবার পর, বহু কষ্টে সাতরে তিস্তার চড় এলাকা মৌয়ামাড়ি এলাকায় ওঠে। স্থানিয় মানুষেরাই তাদের তিস্তার চর এলাকায় একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এব্যাপারে গৌতম দেব বলেন, নৌকা ডুবির খবর পেয়ে রাতেই ঘটনা স্থলে ছুটে আসি। এলাকায় এসে জানা যায় সাত জন কৃষকই জীবিত আছে। তারা সকলেই মৌয়ামাড়ি এলাকায় একটি বাড়িতে রয়েছে। আমি স্থানিয় প্রশাসনকে বলেছি। উনাদের শারিরীক পরিক্ষা করে বাড়ি পৌছে দিতে। পাশাপাশি এই সব কৃষকেরা যাতে লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করে সেই দিক টা প্রশাসন যাতে দেখে। সে ক্ষেত্রে এই সব মানুষদের লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হবে। তবে মানুষগুলো বেচে গেছে এটাই বড় কথা। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে যে নিখোজ সাতজনের নাম দীপক দাস নামে দুইজন, সুর্য মন্ডল, অধীর দাস, সনু মিস্ত্রী, কাকন দাস ও পবন দাস। সবাই প্রানে বেচে যাওয়ায় সস্তির নিশ্বাস ফেলেছে ডাঙ্গাপাড়ার মানুষেরা।