জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২২শে জুলাই ২০২০ বুধবার : একের পর এক করোনা রোগীর সন্ধান মিলছে মালবাজার পুরসভা এলাকা এবং ওদলাবাড়িতে। যার ফলে মালবাজার পুরসভা এলাকা, চালসা এবং ওদলাবাড়ি এলাকায় চলছে লক ডাউন।
বাজার এলাকায় ঠিকঠাক ভাবেই লক ডাউন পালন হলেও কিছু জায়গায় লক ডাউন উপেক্ষা করেই চলছে রমরমিয়ে দোকান খুলে ব্যবসা। আর এই সব এলাকায় ভীড় করছে সাধারন মানুষ। বার বার প্রশাসন থেকে দোকান পাঠ খুলতে বারন করা হলেও বহু ব্যবসায়ী তা মানছে না। আর এতেই সাধারণ মানুষের আতঙ্ক বেড়েছে বহু গুন।
এবার রাস্তায় নামলো পুলিশ প্রশাসন। মালবাজার ও ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের হিন্দি স্কুল এলাকা এবং ঘীস বস্তি এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। যে সব দোকান খোলা রয়েছে, তাদের অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দেন পুলিশ আধিকারিকেরা। মুখে বলে ব্যবসায়ীদের সাবধান করেছে পুলিশ। এরপরও যদি এই ব্যবসায়ীরা লক ডাউন অমান্য করে, তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশ আধিকারিকেরা জানিয়েছে। পুলিশের ভয়ে অনেক ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে দেয়। অন্য দিকে হিন্দি স্কুলের বাসিন্দারা মাইকিং করে এদিন ব্যবসায়ীদের জানিয়েদেন বৃহস্পতিবার থেকে সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত এই এলাকায় দোকান খোলা থাকবে। এই নিয়ম কেউ অমান্য করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইতিমধ্যে মালবাজার পুরসভা এলাকায় মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৫০ জনের মত এবং ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১২ জন করোনা রোগী সন্ধান মিলেছে। বর্তমানে তারা সবাই জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পাশাপাশি আরো ৫০ জনের মত মানুষের লালারস পরীক্ষার জন্য শিলিগুড়ি পাঠানো হয়েছে। আর এতেই এলাকা জুড়ে আতঙ্কে সকল মানুষ। ইতি মধ্যে বেশ কিছু এলাকা এবং বাজার এলাকার কিছু অংশ কনটাইনমেন্ট জোন ঘোষনা করা হয়েছে। অন্য দিকে যে সব এলাকায় করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে সেখানে রেড জোন ঘোষনা করেছে প্রশাসন।
বুধবার দিন এই সব রেড জোন গুলিতে স্যানেটাইজেসনের কাজ শুরু করলো মাল পুরসভা এবং ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত। ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এর উপ প্রধান সুশিল সরকার বলেন, বুধবার থেকে স্যানেটাইজের কাজ শুরু করেছি। এছাড়া এলাকার মানুষদের সচেতন করছি, যাতে তারা অযথা ভীত না হয়। কারো শরীরে কোন উপসর্গ দেখা দিলে সরাসরি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যায়। তবে অনেক মানুষ অভিযোগ করছেন, দেরিতে স্যানেটাইজনের কাজ শুরু হল। সেই কারনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে।