জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ২২শে জুলাই ২০২০ বুধবার : করোনার অতিমারীর কারনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার ঐতিহ্যবাহী জল্পেশের শ্রাবণী মেলা। শ্রাবণ মাসের শুরুতে প্রতি রবিবার পুণ্যার্থীদের ভিড়ে জমে উঠতো জল্পেশের শ্রাবণী মেলা। এবছর করোনার অতিমারীর কারনে কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হলো এই মেলা। যদিও পুণ্যার্থীদের জন্য মন্দির খোলা থাকবে। তবে মুখে মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি মিলবে।
জলপাইগুড়ি জেলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী মন্দির ময়নাগুড়ির জল্পেশ মন্দির। বছরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম মেলায় জমে ওঠে জল্পেশ মন্দির চত্বর। তবে শ্রাবণ মাসের শ্রাবণী মেলা সব থেকে বড় একটি মেলা। এখানে পুণ্যার্থীরা তিস্তা নদী থেকে জল নিয়ে পায়ে হেঁটে জল্পেশ মন্দিরে আসেন এবং পুজো দেন। এই সময় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি বাদেও বিভিন্ন রাজ্য এবং দেশ থেকেও পুণ্যার্থীরা আসেন পুজো দিতে। তবে এবছর যেভাবে করোনা থাবা বসিয়েছে এবং এর প্রকোপ ভয়াবহ হচ্ছে তাতে মন্দিরের পক্ষ থেকে মেলা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন মন্দির ট্রাস্ট্রি বোর্ড এবং ব্যবসায়ীরা। এই মেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ব্যবসায়ীর পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যের ব্যবসায়ীরা আসেন সরঞ্জাম বিক্রি করতে। কিন্তু এবার মেলা বন্ধ হওয়ায় তারাও বিপাকে পড়েছেন। তাছাড়া শ্রাবণী মেলায় একটা মোটা অঙ্কের আর্থিক সহায়তা পেতো মন্দির কমিটি। যা থেকে মন্দিরের কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হতো। এবছর কর্মচারীদের বেতন প্রায় বন্ধের মুখে।
এই প্রসঙ্গে জল্পেশ মন্দির ট্রাস্টি বোর্ড এর সম্পাদক গিরিন্দ্রনাথ দেব বলেন, করোনার আবহে শ্রাবণী মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তা আমরা চিঠি মারফত প্রশাসনকে জানিয়েছি। তবে মন্দির খোলা আছে ভক্তদের তো আমরা আটকাতে পারি না। মন্দিরে প্রবেশের জন্য মুখে মাস্ক, স্যানিটাইজার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। মেলা বন্ধ হওয়ায় বিরাট ক্ষতি হচ্ছে। কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় কি করবো আমরা বুঝতে পারছি না।