জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ২৮শে জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার : নিকাশি নালা জনিত কারণে বাড়ির শৌচাগারের জল বেরিয়ে পড়ছে রাস্তায়। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন এলাকাবাসীরা। ময়নাগুড়ির নতুন বাজার সংলগ্ন হাসপাতাল পাড়া সরকারি ডাকবাংলোর সামনের রাস্তায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। একাধিক বার বাড়ির লোক এবং পঞ্চায়েতকে জানিয়েও কেনো সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। তবে এব্যাপারে এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যা দীপ্তি বিশ্বাস কে এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান বাড়ীর সদস্যদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
ময়নাগুড়ির খাগড়াবাড়ি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের হাসপাতাল পাড়া এলাকার সরকারি ডাক বাংলো দিয়ে যাওয়া রাস্তায় বর্ষায় জল জমে থাকে। সেখানে জল নিকাশির ব্যবস্থা থাকলেও জল জমে থাকে রাস্তায়। এর মাঝেই মদন রক্ষিত নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার শৌচাগার থেকে জল বেরিয়ে জমে থাকে রাস্তায়। সেই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত কারী স্থানীয় বাসিন্দা সহ নিত্য যাত্রীদের বিপাকে পড়তে হয় এই সমস্যার দরুন। স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এই সব নোংরা জল পেরিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। খুব সমস্যা হয় আমাদের। আমরা একাধিকবার জানিয়েছি বাড়ির মালিক কে কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা সুজাতা রায় বলেন, এটা পায়খানার ট্যাঙ্কির জল, এখান থেকে অনেক দুর্গন্ধ বেরোয়।এই রাস্তা দিয়ে অনেক সময় আমাদের পুজো দিতে যেতে হয়। এই সমস্ত জল পেরিয়ে যাওয়াটা কেমন হয়। আমরা চাই দ্রুত এর একটা সমাধান হোক। ময়নাগুড়ি থানায় কর্মরত এক সিভিক ভোলেনটিয়ার রীনা শর্মা বলেন, এটা পায়খানার জল রাস্তায় জমছে। আমাকে এই রাস্তা ধরে প্রতি দিন ডিউটিতে যেতে হয়। খুব সমস্যা হয় এই নোংরা জমা দিয়ে যেতে।
রক্ষিত পরিবারের গৃহ বধূ বলেন, এটা তো আমাদেরও সমস্যা হয়। লোকজন আমাদেরকেও অনেক কথা বলেন আমাদেরও শুনতে খারাপ লাগে। কি করবো পঞ্চায়তকে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। মদন রক্ষিতের দিদি গীতা কর্মকার বলেন, এটা আমার একাধিকবার পঞ্চায়েত প্রধানকে জানিয়েছি। কোনো কাজ তারা করেননি। এটা মূলত নিকাশিনালার সমস্যার জন্য হচ্ছে।
খাগড়াবাড়ি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সীমা রায় বলেন, এই সমস্যাটা দীর্ঘদিনের। আমরা তাদের বলেছি এই জলটা ড্রেনে ফেলার ব্যবস্থা করতে। কিন্তু ওনারা শোনেনি। গ্রাম পঞ্চায়েত এর কাজ নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করা কিন্তু কারো বাড়ির ব্যক্তিগত জল বের করার ব্যবস্থা আমাদের নয়। সেটা তাদেরকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এর পরেও যদি বাড়ীর মালিক এই সমস্যার সমাধান না করে, তাহলে উর্ধতন কতৃপক্ষ কে জানানো হবে।