জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৩১শে জুলাই ২০২০ শুক্রবার : দিন দিন ডুয়ার্সে বেড়েই চলেছে হাতির মৃত্যুর সংখ্যা। প্রতি বছর পাওয়ার ফেন্সিং এর ফলে প্রচুর হাতির মৃত্যু হয় বিভিন্ন এলাকায়.সেই বিষয়টি নিয়েই ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট বিভিন্ন NGO, ফরেস্ট প্রোটেকসন কমিটি, বিভিন্ন চা বাগানের ম্যানেজার, বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এর প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন।
প্রায়ই দেখা যায় বর্ষাকালে বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গলে ইলেকট্রিক এর তারের উপরে গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে বিপদজনক ভাবে মাটিতে পড়ে থাকে এবং কৃষকরা ধান বাঁচানোর জন্য ধানক্ষেতের চারিদিকে পাওয়ার ফেন্সিং করে থাকে যার ফলে হাতি সেখানে এলে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে মারা যায় এবং বিভিন্ন চাবাগান গুলিতে কাঁটা তারের বেরা দোওয়াতে হাতিদের যাওয়া আসার পথ অর্থাৎ করিডোরে বাধা প্রাপ্ত হয়।
ওদলাবাড়ী ডিপুপাড়ায় নর্থ বেঙ্গল টিম্বার মার্চেন্ট এসোসিয়েশানের কার্যালয়ে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে একটি সার্ভে টিম গঠন করা হবে যেই টিম বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখবেন যেই জায়গায় হাতির করিডর রয়েছে সেইসব জায়গা গুলিতে যাতে কোনরকম পাওয়ার ফেন্সিং না হয় এবং কোন বিদ্যুৎ পোলের তার যাতে হাতির নাগালে না থাকে সেই সব লক্ষ রাখবে এবং এই কারণগুলিতে যাতে আগামীদিনে হাতির মৃত্যু না হয় সেই বিষয়গুলি নিয়ে আজ আলোচনা চলে। এই মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন বৈকন্ঠপুর ADFO রাহুলদেব বর্মন, তারঘেরা রেঞ্জ অফিসার শুভজিৎ মৈত্র, আপালচান রেঞ্জ অফিসার কুনাল বর্মন,মাল Wild Life এর রেঞ্জ অফিসার বিভূতিভূষণ দাস, ওদলাবাড়ী N A S এর পক্ষ থেকে নফসর আলী, স্পোরের NGO এর তরফ থেকে শ্যামাপ্রসাদ পান্ডে, ও বিভিন্ন চাবাগানের প্রতিনিধিরা।