জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১৬ই আগষ্ট ২০২০ রবিবার : করোনা আতঙ্কের কারনে গ্রামগঞ্জের মানুষেরা ভয়ে হাস পাতালে যেতে পারছে না। আর এতেই সমস্যায় গরীব মানুষগুলো। ইতি মধ্যে গরীব মানুষের জন্য পদ্মশ্রী করিমুল হক নিজের চেষ্টায় গ্রামে তৈরি করছিলেন হাসপাতাল। যাতে গ্রামের মানুষকে বিনা চিকিৎসায় না মরতে হয়। তাই অল্প অল্প টাকা জোগার করে নিজের হাসপাতাল গড়ছেন করিমুল হক। উদ্দেশ্য গ্রামের গরীব মানুষ গুলো বিনে পয়শায় চিকিসায় পায় এই হাসপাতাল থেকে। তাই এদিন প্রাথমিক ভাবে করিমুল হক তার হাসপাতালের একটি অংশের উদবোধন করলেন। যাতে গরীব মানুষেরা এই হাসপাতালে এসে চিকিৎসা পায়। ফিতে কেটে হাসপাতালের উদবোধন হয় প্রজান্ত্রের দিন। এক চিকিৎসক এসে গরীব মানুষদের চিকিৎসা পরিসেবা দেন।
এ ব্যাপারে করিমুল হক বলেন, যেহেতু করোনার জন্য গ্রামের মানুষেরা সরকারি হাসপাতালে যেতে পারছে না, তাই গ্রামের মানুষের সুবিধার্থে হাসপাতালের একটি অংশ চালু করে দিলাম। যাতে গরিব মানুষেরা ঠিকঠাক পরিসেবা পায়। এখানে প্রতিদিন একজন করে সরকারি এবং বেসরকারি চিকিৎসকরা পরিসেবা দেবে বিনামূল্যে। ঔষধও দেওয়া হবে বিনামূল্যে। সম্পূর্ন ভাবে চালু করতে কিছুদিন সময় লাগবে। কারন এখন হাসপাতালের সমস্ত জিনিসপত্র আনা হয় নি। শুধু মাত্র করোনা আতঙ্কের জন্য হাসপাতালের একটা অংশ চালু করা হল। এদিন চিকিৎসার পাশাপাশি গরীব মানুষদের জন্য খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থাও করেছিলেন বাইক অ্যাম্বুলেন্স দাদা।
এব্যাপারে চিকিৎসা পরিসেবা দিতে আসা এক চিকিৎসক বলেন, করিমুলবাবু যা করছেন তা সত্যি অনিস্বিকার্য৷ উনার মন খুব বড়। তাই তো গ্রামের মানুষের জন্য বিনে পয়শার হাসপাতাল তৈরি করছেন। আমরা উনাকে সাহায্য করতে পেরে ভাগ্যবান। এতে গ্রামের মানুষদের খুব উপকার হবে। সম্পূর্ন ভাবে এই হাসপাতাল চালু হতে আর কিছু দিন সময় লাগবে। তবে এখনো সবাই ভাল পরিসেবা পাবে এই হাসপাতাল থেকে। স্বাধীনতা দিবসের দিন পদ্মশ্রী করিমুল হকের স্বপ্নের হাসপাতাল উদ্বোধন হলেও পরিসেবা ঠিকঠাক হচ্ছে। করিমুল বাবু বলেন কিছু চিকিৎসক ইতিমধ্যে বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য সম্মত হয়েছেন। আরও কিছু চিকিৎসকের সঙ্গে কথা হচ্ছে। বহু মানুষের আর্থিক এবং হার্দিক শুভেচ্ছা এই হাসপাতালটিকে তৈরি হতে সাহায্য করেছে। তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে ভাল লাগছে। এখনো হাসপাতালে বেশ কিছু কাজ বাকি থাকলেও তা প্রাথমিকভাবে চালু করে দেওয়া হল।