জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৩শে আগষ্ট ২০২০ রবিবার : নেপালী ভাষা সংবিধানের অষ্টম তফসিলে জায়গা পেয়েছে ১৯৯২ সালের ২০ আগষ্ট। তার পর থেকে প্রতিবছর সমারোহে এই নেপালী ভাষা দিবস সাড়ম্বরে ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় পালিত হয়ে আসছে। এই বছর ২০ আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকার লক আউট ঘোষনা করায় ডুয়ার্সের কোন জায়গায় এই ভাষা দিবস পালন করা যায় নি। দুইদিন লক আউট শেষ হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় ক্রমান্বয়ে এই ভাষা দিবস পালিত হওয়া আরম্ভ হয়েছে। রবিবার মাল মহকুমার অন্তর্গত ওয়াশাবাড়ী চাবাগান নবজাগরন সংঘ কাঞ্চনবস্তী কমিউনিটি কমিউনিটি হলে ২৯ তম নেপালী ভাষা মান্যতা দিবস পালন করলেন। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বাধ্যতামুলক মাস্ক পড়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে পালন করা হয় এই ভাষা মান্যতা দিবস।ভাষা দিবস পালনে বিভিন্ন সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান ও হয়।
এই ভাষা মান্যতা দিবস অনুষ্ঠানের সূচনা হয় বিশিষ্ট অতিথির হাতে দ্বীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে। এরপর নেপালী ভাষার স্বীকৃতির দাবীর আন্দোলনে শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করা হয়। মুখ্য অতিথি ডি কে শাহী, লব কুমার ছেত্রী, বসন্ত থাপা, রবিন থাপা, রবি বরাইক ও ববিতা সুব্বাকে ভাষা মান্যতা দিবস কমিটির তরফ থেকে সম্মানিত করা হয় খাদা পড়িয়ে। মঞ্চে উপস্থিত সম্মানীয় অতিথিরা ভাষা আন্দোলনের সংগ্রামী ইতিহাস ব্যখ্যা করেন। অতিথিদের মধ্যে কমিটির সদস্য অভাষ দর্জি ও আদর্শ সুনদাস বলেন, অনেক লড়াই সংগ্রামকারী সাহিত্য প্রেমীদের দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে ১৯৯২ সালের ২০ শে আগষ্ট নেপালী ভাষা সংবিধানে স্বীকৃতি পায়। আন্দোলনের অংশগ্রহন কারীদের স্মরণ করে আগামী বছরগুলিতে এই ভাষা দিবস আমাদের পালন করতে হবে যথাযোগ্য মর্যাদার মাধ্যমে। এই অনুষ্ঠান এর সঞ্চালক ছিলেন মনীষ গুপ্তা।