জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৬শে আগষ্ট ২০২০ বুধবার : মাঝে মধ্যেই ওদলাবাড়ি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কিছু মানুষ হামলা করছে। কখনো চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মিদের গালিগালাজ করছে, কখনো আবার হুমকি দেওয়া হচ্ছে, কখনো ধাক্কাধাক্কি বা মারতে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং নার্সদের। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগীর পরিবারের লোকজন এবং বহিরাগত কিছু মানুষ হাসপাতালে এই ভাবে তান্ডব চালাচ্ছে। এরকম ছবি দেখা গেল মঙ্গলবার রাতে ওদলাবাড়ি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইমারজেন্সি বিভাগে। মঙ্গলবার রাতে বাগ্রাকোট এলাকার এক যুবককে সাপে কাটে। সেই রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসকেরা চিকিৎসা করে। রোগীকে বেডে দিয়ে স্লাইন দেওয়া হয়। অনেকটাই সুস্থ্যের পথে ছিলো সেই রোগী। হঠাৎ হাসপাতালে ইমার্জেন্সি বিভাগে ঢুকে পরে রোগীর আত্মীয় এক যুবক। মদ্যোপ অবস্থায় নার্স, চিকিৎসকদের গালিগালাজ, হুমকি এমনকি স্বাস্থ্য কর্মিদের ধাক্কাধাক্কি করে। চেয়ার টেবিল চাপাড়াতে থাকে বলে অভিযোগ । নিরাপত্তার অভাব বোধ করে শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্য কর্মিরা মালবাজার পুলিশকে খবর দেয়। রাতে মালবাজার পুলিশ এসে ওই যুবককে আটক করে। তবে রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, সাপে কাটা রোগীর স্যালাইন দিয়ে ব্লাড যাচ্ছিলো দেখে, ওই যুবক একটু গন্ডোগোল করে। চিকিৎসকদের বক্তব্য এরজন্য নার্স, চিকিসকরা আছে তারাই দেখবে। এদিন ওই মদ্যোপ যুবককে বাধা দিতে এলে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালকদেরও ধাক্কাধাক্কি করে ওই মদ্যোপ যুবক।
শুধু গত কালের ঘটনাই নয়। মাঝে মধ্যে এই হাসপাতালে এসে বিভিন্ন কারন দেখিয়ে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মিদের হুমকি দিচ্ছে বিভিন্ন রোগীর আত্মীয়স্বজন এবং বহিরাগত মানুষ। আর এতেই রাত হলে আতঙ্কে থাকছেন হাসপাতালের সমস্ত কর্মিরা। আর দিনের পর দিন এই ভাবে হাসপাতালে ঢুকে বহিরাগত মানুষেরা স্বাস্থ্য কর্মিদের সাথে গন্ডগোল করলে চিকিৎসা পরিসেবা ব্যাহত হবে। আর এই কারনে বর্তমানে স্বাস্থ্য কর্মিরাও আতঙ্কিত। গত ১ সপ্তাহে এই নিয়ে দুবার এই গন্ডোগোলের ঘটনা ঘটলো হাসপাতালে। এব্যাপারে মাল ব্লকের বি এম ও এইচ প্রিয়াঙ্কু জানা বলেন, এরকম ঘটনা মাঝে মধ্যেই ঘটছে। এতে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মিদের নিরাপত্তা কোথায়। এরকম হতে থাকলে রাতে ইমার্জেন্সি বিভাগ বন্ধ করতে হবে। কারন চিকিৎসকেরা আতঙ্কিত। এব্যাপারে হাসপাতালের রুগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান বুলুচিক বড়াইক বলেন, সাধারন গরিব মানুষের সুবিধার জন্য তৈরি করা হয়েছিল এই হাসপাতাল কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে প্রতিদিন হাসপাতালের ওপর হামলা হচ্ছে, এটা ঠিক নয়।