জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৩রা সেপ্টেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার : দেখে মনে হবে, করোনা ভাইরাস আর নেই। সাধারন মানুষ আপন মনে রেশন তুলতে ব্যাস্ত। তাও আবার সামাজিক দুরত্ব মাথায় তুলে গায়ে গা লাগিয়ে চলছে রেশন নেওয়ার ব্যাস্ততা। এরকম ছবি দেখা গেলো মালবাজার ব্লকের ধুমসিগাড়া এলাকায় একটি রেশন দোকানে। ভোর তিন টে থেকে এই রেশন দোকানে লম্বা লাইন গ্রাহকদের। কম করেও ৫০০ মানুষ এক সঙ্গে লাইন করে রেশন তুলছেন। কারো মুখে নেই মাস্ক, নেই সামাজিক দুরত্ব। ছোট, বড়, বয়স্ক সবাই গাদাগাদি করে চলছে রেশন নেওয়ার হিরিক। যখন দিন দিন এলাকায় করোনা ভাইরাস দ্রুত ছরাচ্ছে তখন এই ছবি সত্যি দেখে অনেকেরই মনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। রেশন নিতে আসা গ্রাহক রঞ্জন বিশ্বস, তপন রায়দের দাবি। সপ্তাহে দুদিন রেশন মিলছে এই দোকান থেকে। এই রেশন দোকানের গ্রাহক অনেক। প্রায় ছয় হাজার। যার মধ্যে গাজলডোবা এলাকায় প্রায় ৩ হাজার। এডভান্স কলনী, সাত নাম্বার, ১০ নাম্বার, ১২ নম্বর কলোনীর গ্রাহক রয়েছে।
দুর দুরান্ত থেকে রেশন নিতে এসেছে সবাই। তাই ভোর তিন টে থেকে লাইন দিয়ে গ্রাহকরা দারিয়ে রয়েছে কিন্তু দোকান খুলছে ৯ টা নাগাদ। তাই এত ভিড় হচ্ছে। আমাদের উপায় নেই। কারন ঘরে নেই খাবার৷ রেশন এর সামগ্রী নিয়ে বাড়িতে রান্নাবাড়ি হবে। তাই বহু মানুষ ভিড় করে রেশন নিচ্ছে। গ্রাহকদের বক্তব্য দীর্ঘ দিনের দাবি গাজলডোবা এলাকায় একটি রেশন দোকান খোলা হোক কিন্তু কে কার কথা শুনে। তাই রেশন দেবার সময় হলে বহু দুর থেকে মানুষ রেশন নিতে ভিড় করে এই ধুমসিগাড়া রেশন দোকানে। বর্তমানে করোনার ভয় রয়েছে কিন্তু রেশন না নিলে খাব কি? তাই ভয় উপেক্ষা করেই ভিড় করতে হচ্ছে এই রেশন দোকানে। তবে এব্যাপারে রেশন দোকান মালিক কোন মন্তব্য করতে চায় নি। এদিকে খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রানেশ বিশ্বাস এ প্রসঙ্গে গজলডোবার মানুষের অসুবিধার কথা মেনে নিয়ে বলেন, খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে গজলডোবায় নতুন করে একটি র্যাশন দোকান খোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাজ্য জুড়ে নতুন করে যে ৪৫২ টি এম আর শপ খোলার কথা শোনা যাচ্ছে তার মধ্যে গজলডোবাও রয়েছে। প্রানেশবাবু বলেন, আপাতত ভিড় এড়াতে একেকটি এলাকার গ্রাহকদের একেকদিন র্যাশন সামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।