জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১৬ই সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার : রাত ভোর তান্ডব চালিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গ্রীল এবং লোহার দরজা ভেঙ্গে খেলো ছোলাগুর এবং চাল। স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিলীপ সরকার বলেন, রাত প্রায় ১২ টা হবে, তারঘেরা জঙ্গল থেকে একটি হাতি আমাদের স্কুলের প্রথমে বারান্দার গ্রীল এবং গেট ভাঙ্গে। এরপর বারান্দায় উঠে স্টোর রুমের দরজা ভাঙ্গে। একটি বস্তায় দু-তিন কিলো ছোলাগুড় রাখা ছিলো। সেখানে দাড়িয়েই ছোলা গুর খায় ৷ ঘরের মধ্যে যত মিড ডে মিলের বাসন পত্র ছিলো তা বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে ছিলো। হাতির পায়ে চাপে স্কুলের বারান্দা গর্ত হয়ে যায়। খেয়ে নেয় মিড ডে মিলের চাল।
এরপর রাতেই স্থানিয় মানুষজন কে স্কুল পাহারা দেবার জন্য বলি। কারন স্কুলে কম্পিউটার সহ জরুরি কাগজ পত্র রয়েছে। বুধবার সকালে এসে দেখি। স্কুলের স্টোর এবং অফিস রুমের অবস্থা খুবই খারাপ। তিনি আরো বলেন, এর আগেও এই স্কুলে দুবার হাতির হামলা হয়েছে। এর আগে মিড ডে মিলের রান্নাঘর ভেঙ্গে ছিল হাতি। এব্যাপারে তারঘেরা বন দপ্তরকে সমস্ত বিষয় জানিয়েছি। এলাকার মানুষ সুরেশ চন্দ্র রায় বলেন, দুদিন আগেই এই হাতিটি তারঘেরা বস্তিতে দুটি ঘর ভাঙ্গে এবং হাতির ভয়ে হার্ডফেল হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ওই বাড়ির মালিকের। আর এদিন ওই হাতিটি আবার হামলা চলালো স্কুলে। এবার স্কুল ভেঙ্গে ছোলাগুড়তো খেলো, খেলো চাল।
পাশাপাশি তারঘেরা এলাকায় রাতে দুটি বাড়ি ভেঙে আলু, চাল খেলো এই হাতিটি। আর এতেই আতঙ্কিত আমরা। বন দপ্তর কে বলেছি, রাতে এলাকায় টহলদারি বাড়ানোর জন্য। এব্যাপারে তারঘেরা বন দপ্তরের রেঞ্জার শুভজিৎ মৈত্র বলেন, খবর পেয়েই রাতেই বন কর্মিদের পাঠিয়েছিলাম। বন কর্মিরা রাতেই হাতিটিকে জঙ্গলে ফেরায়। শুনেছি স্কুলের গ্রীল, গেট ভেঙ্গে ছোলা, চাল খেয়েছে। আমরা বুধবার রাত থেকে টহলদারি বাড়াচ্ছি। এবং হাতির ওপর নজর রাখছি। যাদের ক্ষতি হয়েছে, তারা সরকারি নিয়মে আবেদন করলে ক্ষতিপুরন পাবে।