জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২০ শনিবার : দিন দিন অবলুপ্তির পথে বিভিন্ন ধরনের হস্ত শিল্পগুলি। অনেকেই এই শিল্পকে টিকিয়ে রেখে কোনো রকমে সংসার নির্বাহ করছেন। এরকমই হস্ত শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন ময়নাগুড়ির রথেরহাট এলাকার জ্যোৎস্না শর্মা। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে নিরলস ভাবে বাড়িতেই তৈরি করে চলেছেন নানা রঙের সুতো দিয়ে মাদুর চট। কিন্তু সে ভাবে উৎপাদিত মাদুর চট এর দাম তিনি পাচ্ছেন না।
একটি মাদুর চট তৈরি করতে সুতো লাগে প্রায় ১৫০০ টাকার মতো। কিন্তু গ্রামে এই মাদুর চট বেশি দাম দিয়ে কিনতে আগ্রহী হন না বেশির ভাগ মানুষ। অন্যদিকে একটি পূর্ণাঙ্গ চট তৈরি করতে প্রায় ১০ থেকে ১২ দিন সময় লেগে যায়। এতো পরিশ্রম করে একটি মাদুর চট নির্মাণের পর তাদের পারিশ্রমিক মেলে না সে ভাবে। এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এলাকায় বেশ কিছু মহিলাকে জ্যোৎস্না দেবী এই শিল্প শিখিয়েছেন। বিক্রির অভাবে সেই চর্চা তারা করতে পারছেন না। গ্রামের মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এই মাদুর চট প্রদর্শনীতে নিয়ে গেলে ভুয়োসি প্রশংসা করেন কোলকাতা থেকে আগত শিল্পী প্রেমীরা। তার পরে কোনো রকম সহযোগিতা তিনি পান নি। জ্যোৎস্না দেবী বলেন, গ্রামে অনেকে মেয়ের বিয়েতে অনেকে নিয়ে যান। একটা মাদুর চট তৈরি করতে যে খরচ এবং পরিশ্রম লাগে সেই অর্থে এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা কষ্টকর। প্রতিবেশী হৃদয় শর্মা বলেন, খুব সুন্দর একটি হস্ত শিল্পের কাজ করছেন। সেভাবে সরকারী সাহায্য না মেলায় সমস্যায় পড়েছেন। যদি সরকারি কোনো সাহায্য মেলে তবে তিনি ভালো করে এই কাজ করতে পারবেন।