উত্তরবঙ্গ : কোচবিহার-শিলিগুড়ি : ২৪শে সেপ্টেম্বর ২০২০ : বৃহস্পতিবার : নাবালিকাকে উদ্ধার করে ফেরার পথে নয়ানজুলিতে উল্টে পরল পুলিশের গাড়ি৷ জলে ডুবে যায় গাড়িটি। ঘটনায় মৃত্যু হল পুলিশ কনস্টেবল সহ উদ্ধার হওয়া নাবালিকা ও তার মা ও কাকার৷ চারজনকেই মৃত বলে ঘোষনা করে ঘোকসাডাঙ্গা হাসপাতাল। কোচবিহারের ঘোকসাডাঙ্গার ঘটনা। নাবালিক উদ্ধারে গিয়ে দুর্ঘটনায় পুলিশের গাড়ি। মৃত ৪। কোচবিহারের ঘোকসাডাঙ্গা থানার অন্তর্গত ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের কুশিয়াবড়ির ঘটনা।
মৃত কনস্টেবল শিলিগুড়ির প্রধাননগর থানার কর্মরত ছিলেন। তার নাম গোবিন্দ সেন (৪০)। উদ্ধার হওয়া নাবালিকা জ্যোৎস্না কর (১৭) তার মা শিপ্রা কর (৩৫) ও নাবালিকার কাকা প্রদীপ দেবনাথ ৩৮ মৃত তিনজনেই শিলিগুড়ির বাসিন্দা বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। তাদের মধ্যে আছেন শিলিগুড়ি প্রধাননগর থানার একজন এস আই বিশ্বজিত দাস সহ আরেক কনস্টেবল চন্দনা পাল। বাকি দুজনের মধ্যে একজন নাবালিকা উদ্ধার কান্ডে অভিযুক্ত কৈলাশ দাস। অপর জন চালক রঞ্জন সরকার, তিনি পলাতক।
পুলিশ জানিয়েছে শিলিগুড়ির বাসিন্দা জোৎস্নাকে নিয়ে গত কয়েকদিন আগে পালিয়ে ছিল অভিযুক্ত দিনহাটার সাহেবগঞ্জের যুবক। পরিবারের অভিযোগ পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করতেই শিলিগুড়ির প্রধাননগর থানার পুলিশ এসেছিল সাহেবগঞ্জে। ফেরার পথে ঘোকসাডাঙ্গা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে৷ মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে ঘোকসাডাঙ্গা থানায়। নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার হয়েছে সাদা ইনোভা গাড়িটি।
পুলিশি সূত্র অনুযায়ী গত ২৮ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিল এই নাবালিকা মেয়ে। ২৯ তারিখ মেয়ের মা শিব্রা কর শিলিগুড়ির প্রধান নগর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। বুধবার মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে নিখোঁজের হদিশ পান প্রধান নগর থানার পুলিশ। নিখোজ নাবালিকাকে উদ্ধার করতে দুইজন পুরুষ ও একজন মহিলা পুলিশ কর্মী মেয়ের মা এক আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে কোচবিহারে নাবালিকাকে উদ্ধার করতে রওনা দেন। বৃহস্পতিবার ভোরে তারা নাবালিকাকে ও অভিযুক্তকে নিয়ে আসার সময় কোচবিহারের ঘোকসাডাঙ্গা কুশাইডাংগিতে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় চারজনের। গুরুতর আহত ৩। চালক পলাতক।