জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১লা অক্টোবর ২০২০ : বৃহস্পতিবার : ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে কাজ বন্ধ করে রাস্তার পাশে বসে পড়লো মালবাজার মহকুমার সাইলি চাবাগানের মহিলা শ্রমিকেরা। বুধবার সকাল থেকে চাবাগানের গেটের সামনে আন্দলোন করার পর শ্রমিকেরা মালবাজার বিডিও অফিস ঘেরাও করতে যাচ্ছিলো কিন্তু সাইলি বাজারের সামনে পুলিশ শ্রমিকদের আটকে দেয়। আর এতেই শ্রমিকেরা রাস্তার পাশে বসে বিক্ষোভ দেখান। পাশাপাশি এদিন ডামডিম বাজারের ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেও ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে বসে পরে ওই চাবাগানের শ্রমিকেরা। মহিলা শ্রমিক ঘুন্টারি মাঝি, রামিয়া খরিয়াদের বক্তব্য, সব চাবাগানে ২০ শতাংশ বোনাস দিচ্ছে কিন্তু আমাদের এই সাইলি চাবাগানে সাড়ে ১৫ শতাংশ হারে বোনাস দিচ্ছে। আমরা সাড়ে ১৫ ℅ বোনাস মানব না। এছাড়া বাগান থেকে আমরা কিছুই পাইনা। না পাই ছাতা, না পাই জ্বালানি। নেই মেডিক্যাল এর ব্যাবস্থা। শ্রমিকেরা রাত দিন পরিশ্রম করে কাজ করছে অথচ মালিক পক্ষ কিছুই দেয় না আমাদের। তার ওপর ২০% বোনাসের বদলে সাড়ে ১৫℅ বোনাস দিতে চাইছে। এটা আমরা মানবো না। আমাদের দাবি না মানা হলে আমরা আন্দলনের পাশাপাশি বাগানের কাজে যোগ দেব না।
এব্যাপারে মাল ব্লকের তৃনমুল মজদুর ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট অর্জুন ছেত্রী বলেন, ১৮ তারিখ থেকে শ্রমিকেরা তাদের ২০% বোনাসের দাবিতে আন্দলন করে আসছে। কিন্তু মালিক পক্ষ কোন কথাই শুনছে না। তাই বুধবার বাগানের কাজ বন্ধ করে এদিন বিডিও অফিস ঘেরাও করতে বের হয়। তবে প্রশাসন শ্রমিকদের আটকে দেয়। শ্রমিকদের বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু শ্রমিকেররা রাস্তার পাশে বসে পরে। তবে শ্রমিকদের এই আন্দলনের কারন আছে। কারন চা বাগানের যে সব সুযোগ সুবিধা শ্রমিকদের প্রাপ্য তা কিছুই পায় না শ্রমিকেরা। তাই তারা এদিন রাস্তায় চলে আসে। তবে পুলিশ প্রশাসন শ্রমিকদের কয়েকজন কে বিডিও অফিসে পাঠিয়েছে। যাতে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটে যায়।
সাইলি চা বাগান যেহেতু রাঙ্গামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের আন্ডারে। সেই কারনে সকাল থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অশোকচিক বড়াইক শ্রমিকদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, শ্রমিকদের পুরনো পাওনা গন্ডা ঠিকঠাক পেলে, এই অবস্থা হত না। শ্রমিকদের পুরনো বহু পাওনা বাকি আছে। তার ওপর সাড়ে ১৫% বোনাস তারা নিবে না। বাগানের প্রায় ১৪০০ শ্রমিক কাজে যায় নি। তবে এদিন শুধু মহিলা শ্রমিকেরা রাস্তার পাশে বশে আন্দলন করছেন। আশা করি বিডিও সাহেবের সাথে আলোচনার মধ্যে দিয়ে সমস্যা মিটে যাবে। কারন ১৫-২০ জন শ্রমিকদের প্রতিনিধি বিডিও সাহেবের সাথে কথা বলতে গিয়েছেন।
এব্যাপারে চাবাগান কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা যায় নি। এব্যাপারে মালবাজার বিডিও অফিস সুত্রে জানা গেছে, বিডিও র সাথে শ্রমিকেরা দেখে করেন, মৌখিক ভাবে সমস্যার কথা জানান। বিডিও বিমান চন্দ্র দাস, শ্রমিকদের জানিয়েছে, লিখিত ভাবে অভিযোগ জানান, আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।