জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৩রা অক্টোবর ২০২০ : শনিবার : গরুমারা থেকে দুটি কুনকি হাতি আনা হলেও শেষমেশ ট্র্যাঙ্কুলাইস করা গেলো না দল ছুট দাতাল হাতিকে। অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় মানুষজন কে তাড়া করে চাবাগানের মধ্যে দিয়ে ডামডিম বাজার হয়ে অন্যত্র চলে যায় হাতিটি। তবে সকাল থেকে নাজাহাল করেছে এইদল ছুট হাতিটি। হাতির আক্রামনে মারা গেছে এক চা শ্রমিক এবং গুরুতর আহত হয়েছে আর এক চা শ্রমিক। চা বাগানে এই দল ছুট হাতির আসায় টের পায় নি কেউ। হাতিটি প্রথমে মুন্টি লাইনে রামকৃষ্ণ লোহারকে( ৫২) আক্রমন করে আহত করে। এরপর ভেকু লাইনে আক্রমন করে ক্রিষ্টোফার ওরাও( ৪৫) কে । দুইজনে গুরুতর আহত হয়। নিয়ে যাওয়া হয় মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দুইজনকে পাঠান হয় জলপাইগুড়ি হাসপাতালে। সেখানেই মারা যান রামকিষন লোহার। অপর আহত ক্রিষ্টোফার ওরাওকে পাঠান হয় উত্তরবঙ মেডিকাল কলেজ ও হাসপাতালে।
এই দুই জনকে আক্রমণ করার পর হাতিটি সাইলি চাবাগানের বেদবাড়ি ডিভিসনে এক টি ঝোরার মধ্যে আশ্রয় নেয়। হাতি দেখতে ভিড় উপচে পরে এলাকায়। মানুষজনকে সামলাতে হিমসিম খেতে হয় প্রশাসন এবং বন দপ্তর কে। এই ঘটনায় ওই বাগানে প্রচন্ড উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে আসেন মাল , তারঘেরা খুনিয়া আপালচাদ রেঞ্জের বনআধিকারিকরা। এসে পৌছেছেন মাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবাশীষ চক্রবর্তি, মাল থানার ওসি শুভাশীষ চক্রবর্তি, এস,এস,বি জওয়ানরা। জঙলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা হাতিটিকে চারদিক থেকে ঘিরে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন বন বিভাগের বৈকন্ঠপুর ডিভিশনের এ ডি এফ ও রিয়া মুখার্জি। চার দিকে লোকালয়। এর মধ্যেই চলছে হাতিটিকে ট্র্যাঙ্কুলাইস করে কাবু করার চেষ্টা। হাতিটি সাইলি চাবাগানের বেদবাড়ি ডিভিসনের একটি ঝোপেরর মধ্যে থেকেই মাঝেমধ্যে মানুষজন কে তারা করছিলো৷ । মাঝে মধ্যেই মানুষ এবং বন কর্মিদের তারা করছে হাতিটি। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কাবু করা যায় নি।
বন দপ্তর গরুমাড়া থেকে দুটি কুনকি হাতি এনে কাবু করে নিয়ে যাবে গরুমারায় এই সিদ্ধান্ত হয় বন দপ্তরের। এরপর সন্ধা সময় গরুমারা থেকে দুটি কুনকি হাতি ভোলানাথ ও বর্ষন কে আনা হয় দল ছুট হাতিকে ট্র্যাঙ্কুলাইস করার জন্য। কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় দল ছুট হাতিটি মানুষ কে তাড়া করে নিজেই জঙ্গলে ফিরে যায়। সেই কারনে কুনকি হাতি আর কোন কাজে এলো না। তবে বন দপ্তরের চিন্তা অন্ধকারে দলছুট হাতিটি আবার কারো কোন ক্ষতি না করে। তাই বন দপ্তর, পুলিশ এবং এস এস বি জাওয়ানেরা এলাকায় টহল দিচ্ছে।