জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৪ঠা অক্টোবর ২০২০ : রবিবার : শনিবার কুমলাই চা বাগানে দাতাল হাতির আক্রমনে আহত রামকৃষ্ণ লোহার এর মৃত্যু হয়েছিল। অপর আহত ক্রীষ্টীফার টোপ্পো রাতে মারা গেলেন উত্তরবঙ্গ মেডিকাল কলেজ ও হাসপাতালে। বাগানের শ্রমিক নেতা ইন্দ্রজিত দাস বলেন, সারা বাগানে শোকের ছায়া। দুই জনের এই ভাবে মৃত্যু মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। এদিকে গতকালের সেই দাতালটিকে ঘুমপাড়ানী গুলি দিয়ে কাবু করার জন্য গরুমারা থেকে দুইটি কুনকি হাতি আনা হয়েছিল। কিন্তু সেই ঘাতক হাতিটির খোজ পাওয়া যায় নি। জঙ্গলে চলে গিয়েছে হাতিটি। বনদপ্তরের বক্তব্য হাতিটি ট্রেসলেস।
কুমলাই চা বাগানের হাতির আতঙ্ক কাটতে না কাটতে রবিবার সকালে ডামডিম চা বাগানে ম্যানেজারের বাংলোর পিছনে একটা বিশাল দাতাল হাতিকে দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকের বক্তব্য এটি গতকালের না, অন্য হাতি এটি। এখন সেই হাতটিকে জঙ্গলে পাঠাতে ব্যস্ত বনদপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীরা। গত একমাস ধরে ডুয়ার্স জুড়ে হাতির আনাগোনা, তান্ডব ও প্রানহানীর ঘটনায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। বিশেষ করে, জঙ্গল সংলগ্ন চা বাগান ও বস্তীতে হাতির তান্ডব বেড়েই চলছে। প্রশ্ন উঠেছে, বন্য হাতি তাড়াতে যত লোক দরকার তাকি বনদপ্তরের আছে ? কয়েক বছর ধরে নতুন কোন নিয়োগ পর্যন্ত হয় নি। যারা প্রতিদিন রাত জেগে হাতি তাড়াতে ব্যস্ত থাকেন মুস্কিলে পড়েন তারা। এক সঙ্গে দুই তিন জায়গায় হাতি আসলে অসুবিধায় পড়তে হয়। এক জায়গায় হাতি তাড়িয়ে অন্য জায়গায় যেতে হয়। আর তখন জন রোষের মুখে পড়তে হয় তাদের। সরকার ও প্রশাসনকে এটা গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।