জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৬ই অক্টোবর ২০২০ : মঙ্গলবার : দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর ধরে বন্ধ মালবাজার মহকুমার মানাবাড়ি চাবাগান। সেই কারনে চরম সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন বাগানের প্রায় ১৫০০ শ্রমিক। বহুবার শ্রমিকেরা আবেদন নিবেদন করেও খোলেনি এই মানাবাড়ি চাবাগান। শ্রমিকদের বক্তব্য ২০১৬ সালে বোনাস নিয়ে মত পার্থক্যের জন্য বন্ধ হয়ে যায় এই চা বাগান। তারপর থেকে বাগান খোলার জন্য বহু আন্দোলন করেছে কিন্তু সব আন্দোলনই বিফলে গেছে। সামনে পুজো। সবাই যখন নতুন জামাকাপড় পড়বে তখন এই চাবাগানের শ্রমিকেরা কষ্টে দিন কাটাবেন। বাগানটি যাতে দ্রুত খোলা যায়, সেই কারনে গ্রাম পঞ্চায়েতে মানাবাড়ি চাবাগানের শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠক করেন জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূল এর সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যানী।
উপস্থিত ছিলেন মাল ব্লকের তৃনমুল এর সভাপতি তমাল ঘোষ। বন্ধ মানাবাড়ি চাবাগানের শ্রমিক রমেশ কুর্মি, লক্ষন মুন্ডা, জয়রাম ওড়াওদের বক্তব্য দীর্ঘদিন ধরে বাগান বন্ধ কিন্তু প্রশাসন বা সরকারি ভাবে বহু জায়গায় আবেন করেও খুলেনি এই চাবাগান। খুব কষ্টে দিন কাটছে আমাদের। তাই এদিন তৃনমুল সভাপতিকে সব জানালাম। তিনি বাগান খোলার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা চাই প্রয়োজনে বাগানের লিজ বাতিল করে নতুন মালিক দিয়ে বাগান খোলা হোক। এর আগে মন্ত্রীদের জানিয়েছি কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয় নি। তাই এবার কৃষ্ণ কুমার কল্যানীকে সমস্ত বিষয় জানালাম। দেখা যাক কি হয়।
এব্যাপারে জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূল এর সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যানী বলেন, কেন এত দিন মানাবাড়ি চাবাগান বন্ধ রয়েছে তা আমি শ্রমমন্ত্রীর সাথে কথা বলে জেনে নিচ্ছি। যাতে চাবাগান টি দ্রুত স্বাভাবিক হয় তার চেষ্টাই করবো এবার। যদি মালিক বাগান চালাতে না চায়, তাহলে নতুন মালিক দিয়ে বাগানটি খোলা যায় কিনা সেটাও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। কারন এই ভাবে দিনের পর দিন বাগান বন্ধ থাকলে চাবাগানেরও ক্ষতি এবং শ্রমিকদেরও ক্ষতি। মাল ব্লকের তৃনমুল এর সভাপতি তমাল ঘোষ বলেন, শ্রমিকেরা বারে বারে আমাকে জানিয়েছে, যাতে বাগানটি খোলা যায়। তাই আমি এদিন কৃষ্ণদার সাথে কথা বলে এই বৈঠকের কথা বলি। বৈঠক ঠিকঠাক হওয়ায় খুশি শ্রমিকেরাও।