জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৭ই অক্টোবর ২০২০ : বুধবার : বুধবার ভোরের প্রবল বর্ষনে ফুলেফেঁপে উঠলো পাহাড়ি ঝোড়া সুখানী। জলমগ্ন হয়ে পড়ল নাগরাকাটার বেশ কিছু এলাকা। স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, বুধবার ভোর ৫ টা থেকে ৭টা পর্যন্ত প্রবল বর্ষন চলে। এর জেরেই সুখানী নদীর জল বেড়ে গিয়ে ঢুকল মাল মহকুমার নাগরাকাটার বিভিন্ন এলাকায় । সুখানী নদীর রাজ্য সরকের সেতুর উপর দিয়ে জল বইতে থাকে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল মনমোহন ধুরার সাথে নাগরাকাটা শহরের যোগাযোগ। পাশাপাশি বিজয়নগর এলাকায় প্রায় পঞ্চাশটি বাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়ে বলে স্থানীয়রা জানান। জল ঢুকে গিয়ে পুজোর মুখে বিপাকে পড়ে গিয়েছে মৃতশিল্পিরা। মৃৎশিল্পীদের কুমোরটুলিতে জল জমে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে তারা। বহু প্রতিমা ক্ষতির মুখে। প্রসঙ্গত হঠাৎ করে বুধবার সকাল বেলায় মুষলধারে বৃষ্টি আসার ফলে সুখানী নদীর জল ফুলে ফেপে উঠে। তারপরই এই বিপত্তি ঘটে যায়। সকাল থেকে ভারী বৃষ্টির কারনে নাগরাকাটার বিভিন্ন জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বুধবার সকালে দুই ঘন্টা লাগাতার বৃষ্টিতে নাগ্রাকাটা বাজার, মছুয়া পট্টী, স্কুল মোড়, নন্দু মোড় প্রভৃতি এলাকা জলমগ্ন হওয়ায় অনেক ঘর ও দোকানে জল ঢুকে গেছে, যার ফলে দোকানী ও বাসিন্দাদের ক্ষতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন এখন রাস্তা চওড়া হচ্ছে। জল নিকাশী ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এই নিকাশী ব্যবস্থা কাজ না করার দরুন বৃষ্টি হলে মুহুর্তের মধ্যে এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়। কিছু মানুষ আরও অভিযোগ করেন কুর্তি নদীর পাড়ে আশেপাশে অবৈধ নির্মান হওয়ার ফলে বন্ধ হয়ে যায় জল নিকাশী ব্যবস্থা। জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় বাসিন্দাদের দূর্ভোগের শিকার হতে হয়। প্রশাসনের কাছে এই সমস্যার দ্রুত সমাধানের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তবে দুঘন্টার বৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে নাগ্রাকাটা এলাকার বিভিন্ন জায়গা। তবে বৃষ্টি থামার পর জল নেমে যেতে শুরু করে। এনিয়ে নাগরাকাটার বিডিও স্মৃতি সুব্বা বলেন, সকালবেলা যেখানে যেখানে জল জমে ছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা পরিস্কার করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সে সব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ আমাদের এখানে এসেছিল তাদের ত্রান ও সাহায্য দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সামগ্রিক ঘটনার প্রতি নজর রাখা হচ্ছে।