জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৯ই অক্টোবর ২০২০ : শুক্রবার : বোনাসের দাবীতে মালবাজার মহকুমার বাগ্রাকোট চাবাগানে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে শ্রমিকেরা। সকাল থেকে চাবাগানের কাজ বন্ধ করে শ্রমিকেরা চাবাগানের গেটের সামনে বিক্ষোভ এ সামিল হন। তবে শ্রমিকেরা বাগানের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেও বাগান ম্যানেজার চাবাগানে আসেনি। চাবাগানের শ্রমিক রঞ্জন ওড়াও, মলিনা এক্কাদের বক্তব্য ডানকান্স এর সব বাগানে ১৩% বোনাস দেওয়া হচ্ছে। অথচ বাগ্রাকোট চাবাগানে কোন বোনাস নেই। সারাবছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে চাবাগানের পাতা তুলি কিন্তু পুজোর সময় আমরা কেন বোনাস পাব না? তাই বোনাসের দাবিতে আমরা সকাল থেকে বাগানে বিক্ষোভ দেখিয়েছি। অবিলম্বে আমাদের বোনাস দিতে হবে।
বাগানের একজন কর্মি বিদ্দুৎ সর্মা বলেন, এই চাবাগানে যেহেতু ফ্যাক্টারী বন্ধ তাই সঞ্চালন সমিতি এবং বাগান মিলে এই বাগ্রাকোট চাবাগান চালাচ্ছে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৮ দিনের বেতন এবার পুজোর আগে দিয়েছে এই সঞ্চালন সমিতি। এই সঞ্চালন সমিতিতে ম্যানেজারও রয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু গত বছরের কাজের মজুরি এবার দিলো বলে, বোনাস কেন দেওয়া হবে না?
এব্যাপারে বাগান সঞ্চালন কমিটির এডভাইজার তথা চাবাগান তৃনমুল কংগ্রেস মজদুর ইউনিয়ন সেন্ট্রাল কমিটির সেক্রেটারি সরোজ ছেত্রী বলেন, বাগ্রাকোট চাবাগানে ফ্যাক্টারী বন্ধ, চা পাতা তুলে বিক্রি করে মজুরি দেওয়া হয়। তাই বোনাস দেওয়া হয় নি শ্রমিকদের। তবে আমরা গতবছরের ১৮ দিনের মজুরি এবার দিয়েছি শ্রমিকদের। আমাদের ফান্ডে কিছু টাকা আছে, সেই টাকা শুখা মরশুমে শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হবে। তাই শ্রমিকদের এবছর বোনাস দেওয়া হচ্ছে না কিন্তু সঞ্চালন কমিটির এই যুক্তি মানতে নারাজ চাবাগানের প্রায় ১৫০০ চা শ্রমিক। শ্রমিকদের বক্তব্য শুখা মরশুমে আমারা যে মজুরি পাব তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তাই আমরা চাই পুজোর আগে আমাদের বোনাস দেওয়া হোক। সে ক্ষেত্রে ১৩% কম বোনাস নিতেও রাজি শ্রমিকেরা। তবে বোনাস না পেলে বড় আন্দলনে নামতে পিছপা হবেন না শ্রমিকেরা।