জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১৫ই অক্টোবর ২০২০ : বৃহস্পতিবার : রেলের জমি উদ্ধার করতে নামলো রেল পুলিশ। করোনা এবং পুজোর সময় মাথায় হাত এলাকার মানুষদের। তবে এর বিরোধিতা করে এলাকায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তৃনমুল কংগ্রেস। মালবাজার মহকুমার ডামডিম রেল স্টেশন এলাকার ঘটনা। উচ্ছেদ হওয়া মানুষ ডামডিম যাবার এক মাত্র রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। উচ্ছেদ হওয়া মানুষ রবি বর্মন, মধু বর্মনদের বক্তব্য,গত ৩০ বছর ধরে আমরা দত্ত কলনী এবং কদমতলায় বসবাস করে আসছি। দিন-এনে দিন-খেয়ে চলে সংসার। গত ৭দিন আগে রেলের পক্ষ থেকে আমাদের নোটিস দেওয়া হয়। বলা হয় রেলের জায়গা থেকে ঘর বাড়ি সরিয়ে নিয়ে যেতে। এইসময় কোথায় যাব?
আর বৃহস্পতিবার দিন সকাল থেকে প্রচুর রেল পুলিশ এসে আমাদের ঘরবাড়ি অবিলম্বে ভেঙ্গে নিয়ে যেতে বলে। তাই ভয়ে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে রাস্তার পাশে কোথাও যাচ্ছি। আমরা চাই আমাদের পুনর্বাসন দেওয়া হোক। বেলা বাড়ার সাথে সাথে এলাকায় চলে আসে ডামডিম তৃণমূল নেতৃত্ব। এলাকার মানুষদের নিয়ে হয় মিছিল, তারপর ডামডিমের রাস্তা অবরোধ। রাস্তার ওপর বসে পরে উচ্ছেদ হওয়া গ্রামের মানুষেরা। এরপর ডামডিম স্টেশন মাষ্টার কে ডেপুটেশন দেয় তৃনমুল নেতৃত্ব।
ডামডিমের অঞ্চল প্রেসিডেন্ট তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বাবুয়া প্রসাদ বলেন, এটা রেলের ভারি অন্যায় কাজ হচ্ছে। জানি এটা রেলের জায়গায়। তাই বলে করোনা মত মারন ভাইরাসে যখন গোটা দেশ আতঙ্ক, তা ছাড়া সামনে দুর্গা পুজো, আর এই সময় রেল পুলিশ দিয়ে উচ্ছেদ করা হচ্ছে এলাকার মানুষ কে। এটা কি উচ্ছেদ করার সময় হল? এই সময় প্রায় ৫০-৬০ টি পরিবার কোথায় যাবে ? করোনা আতঙ্ক চলে যাবার পর আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সুত্র বের হত। কিছুদিন এই সব মানুষ কে সময় দেওয়া হত, যাতে তারা নিজেদের আস্থানা খুজে নিতে পারতো। আমরা চাই যাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে, তাদের ক্ষতিপূরণ নতুবা পুনর্বাসন দেওয়া হোক। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হব আমরা। এব্যাপারে আলিপুরদুয়ারের রেলের সিনিয়র ডি.সি.এম অমর মোহন ঠাকুর ফোনে জানান, রেলের জায়গা, রেল দখল মুক্ত করছে। এখানে করোনা বা দশোরা আসছে কেন? আমরা এই মানুষ গুলোকে এর আগেই নোটিস দিয়েছিলাম। যাতে তারা রেলের জমি খালি করে দেয় কিন্তু তারা খালি করে নি। তাই আজ তাদেরকে বলা হয়েছে জমি খালি করতে। এখানে প্রতিবাদ কেন আসছে। আমরা তো অন্য কারো জমি উচ্ছেদ করছি না। রেলের জায়গাই খালি করছি।