জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ১৬ই অক্টোবর ২০২০ : শুক্রবার : উত্তরবঙ্গের রাজবংশী বধূর সাজে সজ্জিত হয়ে পূজিত হন দেবী দুর্গা। এরকম থিমের আদলে প্রতিবার তৈরি হয় ময়নাগুড়ি ব্লকের আমগুড়ি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের বসুনিয়া বাড়ির দেবী দুর্গার প্রতিমা। বসুনিয়া পরিবারের এই পুজো এবার ২১০ তম বর্ষে। প্রতি বছর জাকজমক পূর্ণ ভাবে মাতৃ আরাধনায় মেতে ওঠে সকলে। এবছর অনেক সতর্কতা অবলম্বন করেই পূজিত হবেন দেবী। পুজোকে কেন্দ্র করে এবছর রাখা হবে বাড়তি সতর্কতা। থাকবে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। ভিড় এড়াতে রাখা হচ্ছে খোলা মেলা প্যান্ডেল।
এখানে দেবী আসেন রাজবংশী বধূরুপে, দেবীর পরনে থাকে রাজবংশী সমাজের ট্রাডিশনাল পোশাক পাটানি, আবার দেবী দুর্গার পরনে থাকে রাজবংশী বধূর সাজ। যেমন পোষাক ঠিক তেমনি রাজবংশী সমাজের ছাপ রয়েছে দেবী দুর্গার গড়ন ও সাজেও। এখানে দেবী দুর্গার পরনে নেই কোনো অলঙ্কার, কারন তিনি গাঁয়ের বধূ। চোখ, নাক ও মুখের গড়নে মিলবে রাজবংশী ঘরের মেয়ের প্রতিচ্ছবি। রাজবংশী সমাজের ট্রাডিশনাল পোশাক পাটানি দিয়ে দেবী দুর্গাকে বরন করবেন স্থির করেন পুজো কমিটি। কিন্তু করোনার কারণে তা হয়ে ওঠেনি। যে পোশাক দেবীর পরনে পড়ানোর কথা ছিল তা আনতে হয় আসাম থেকে। কিন্তু এবছর করোনার কারনে তা সম্ভব হয়নি । তাই এবার মাটি দিয়েই শাড়ি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন উদ্যোক্তারা।
করোনার কারনে সামাজিক বিধি মেনে মাতৃ আরাধনায় মেতে উঠলেও রাজবংশী কৃষ্টি মেনেই পূজিত হবেন বসুনিয়া বাড়ির দেবী দুর্গা। তবে করোনার কথা মাথায় রেখে বাদ পড়বে অনেক কিছুই। এবার পুজো উপলক্ষে প্রতি বছর অষ্টমীতে যে ভোগ এবং খিচুরি প্রসাদ বিতরণ করে থাকেন তা এবার প্যাকেটিং সিস্টেম হবে বলে জানান পুজো কমিটি। এই পুজোতে প্রতি বছর রাজবংশী ভাষার পত্রিকা ‘উজানী’ প্রকাশিত হয়। পত্রিকা প্রকাশের সময়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। কিন্তু এ বছর পত্রিকা প্রকাশিত হলেও জাঁকজমক ভাবে আগের মতো সাংস্কৃতিক আনুষ্ঠান করা হবে না বলে পুজো কমিটির তরফে জানা গেছে।