জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ১৭ই অক্টোবর ২০২০ : শনিবার : ডুয়ার্স মানেই সুন্দর, নিরিবিলি শান্তিপ্রিয় জায়গা। তাই ভ্রমন পিপাসু মানুষ সর্বদাই কাজের ফাঁকে স্বস্তি পেতে ছুটে আসেন ডুয়ার্সে। করোনার অতিমারীর জন্য লকডাউনে এক ঘেয়েমি থেকে নিজেদের বাঁচাতে ছুটে আসছেন প্রকৃতির শান্ত রূপ দর্শনে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে। পুজোর আগে একঘেয়েমি থেকে রেহাই পেতে পর্যটকরা ছুটে আসছেন জাতীয় উদ্যানে।
দীর্ঘ মেয়াদী লকডাউনের কারনে জঙ্গল বন্ধ থাকায় বেহাল হয়ে পড়েছিল জঙ্গলে থাকা সরকারি রিসোর্ট গুলি। জঙ্গল খুলতেই জোর কদমে শুরু হয়েছে নব রূপে তৈরির কাজ। ময়নাগুড়ি ব্লকের রামশাই এর রাইনো ক্যাম্পে চলছে কাজ। পুজোর আগেই কাজ শেষ করে খুলে দেওয়া হবে পর্যটকদের জন্য। ইতিমধ্যেই জঙ্গলে ছুটে আসছেন পর্যটকেরা। গরুমারা জাতীয় উদ্যানে এসে মেধলা ওয়াচ টাওয়ারে প্রকৃতির দৃশ্য দু চোখ ভরে দেখতে ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকেরা।
রামশাই মেধলা টিকিট কাউন্টারেও ধীরে ধীরে বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়। গরুমারা জাতীয় উদ্যানে ঘুরতে আসা এক পর্যটক জয়ী চন্দ্র বলেন, আমরা সব সময় এখানে প্রকৃতির টানে আসি। তাই পুজোর আগে আবারও স্বপরিবারে এসেছি। বালুরঘাট থেকে এক পর্যটক অমিতাভ চ্যাটার্জি বলেন, প্রকৃতির টানে আমি বালুরঘাট থেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে এসেছি। ডুয়ার্স মানেই সৌন্দর্যের খনি। করোনার এক ঘেয়েমি থেকে শান্তির খোঁজে এখানে আসা। এখানে অনেকবার এসেছি। আবারও প্রকৃতির টানে এখানে আসা। আবারও আসবো এই ডুয়ার্সে।
অন্যদিকে পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে তৎপর রয়েছেন বন দফতর। পুজোর আগে দ্রুত কাজ শেষ করার কথা ভেবে চলছে কাজ। যদিও এখন রিসোর্ট গুলির বুকিং অনলাইন মারফত করা হয়েছে। তবে জঙ্গলে ঘুরতে আসা ভ্রমণ পিপাসু মানুষ সৌন্দর্যের অপরূপ দৃশ্য দেখার জন্য আসলেও এবার পুজোর আগে সেভাবে পর্যটক আসবেন বলেই মনে করছেন বন দফতরের কর্মীরা। বন বিভাগের রামশাই এর বুধুরাম বিট অফিসার ভূপতি শীল বলেন, পুজোর আগে তেমন বাইরের কোনো পর্যটক আসবেন বলে মনে হয় না। তবে আমরা আমাদের এখানে যে রিসোর্টগুলি আছে সেগুলি মেরামতের কাজ শুরু করেছি।