জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১৯শে অক্টোবর ২০২০ : সোমবার : নব নির্মিত হাইড বেরিয়ার ভেঙ্গে পরলো রাজ্য সড়কের ওপর। মালবাজার মহকুমার গাজল ডোবার সাত নাম্বার কলনী এলাকার ঘটনা। উল্লেখ্য, ওদলাবাড়ি থেকে গাজোলডোবা হয়ে শিলিগুড়ি যাবার এই রাজ্য সড়ক বহুদিন যাবত বেহাল। বিশেষ করে গাজলডোবা বন দপ্তরের বিট অফিস থেকে সাত নাম্বার কলনী এলাকা পর্যন্ত রাস্তার হাল ভীষণ খারাপ। আর রাস্তা ঠিকঠাক রাখতে গত দুমাস আগেই গাজল ডোবার সাত নম্বর এলাকায় রাজ্য সড়কে হাইড বেরিয়ার লাগিয়ে দেয় পুর্ত দপ্তর। শক্তপোক্ত ভাবে লোহার হাইড বেরিয়ার লাগানো হয়। আর তার পর থেকে এই রোড দিয়ে ভাড়ি গাড়ি এবং বন্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে রবিবার গভীর রাতে এই লোহার গাইড বেরিয়ার রাজ্য সড়কের ওপর ভেঙ্গে পরে। যার ফলে রাত থেকেই এই রোড দিয়ে ছোট গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সকাল বেলায় স্থানীয় লোকজন রাস্তা থেকে ভেঙ্গে যাওয়া লোহার জিনিস পত্র সরিয়ে কোন রকম ছোট গাড়ি চলাচলের উপযোগী করে তোলে। তবে এই লোহার শক্তপোক্ত হাইড বেরিয়ার ভেঙ্গে পড়া নিয়ে উঠছে নানান প্রশ্ন। দেখা গেছে লোহার হাইড বেরিয়ার এর পাশে পরে রয়েছে ট্রাকের ভাঙ্গা কিছু অংশ। যাতে সবাই বুঝতে পারে ট্রাকের ধাক্কায় ভেঙ্গেছে এই হাইড বেরিয়ার টি। তবে পথ চলতি মানুষ এবং স্থা্নীয় কিছু মানুষ বলছেন, এটা ট্রাকের ধাক্কায় ভাঙ্গতে পারে না।
এত মজবুত হাইড বেরিয়ার পরিকল্পনা করে ভাঙ্গা হয়েছে। তর্কের খাতিরে যদি মেনে নেওয়া হয় ট্রাকের ধাক্কায় ভেঙ্গেছে, তা হলে ট্রাকের সামনের ভাংগা কাচের টুকরো কোথায় গেল? যদি ট্রাকের ধাক্কায় হাইট ব্যারিয়ার টি ভেঙ্গে থাকে তাহলে পুরো গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যাবে এবং কি গাড়ির চালক এর বাচার সম্ভাবনা থাকবে না। তাছাড়া গাড়িটিই বা কোথায় গেলো? রাস্তার পাশেই জেসিপি গাড়ি চাকার ছাপ রয়েছে। তাতে বহু মানুষের অনুমান, জেসিপি গাড়ি দিয়ে টেনে ভাঙ্গা হয়েছে হাইড বেরিয়ার টি। এব্যাপারে পুর্তদপ্তর কিছু বলতে না চাইলেও মালবাজার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সাধারন মানুষের বক্তব্য, যারাই এই কাজ করেছে, তাদের উদ্দেশ্য একটাই যাতে এই রাস্তা দিয়ে আবার ভাড়ি গাড়ি চলাচল করানো যায়।