জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ৩১শে অক্টোবর ২০২০ : শনিবার : সুধা পদ্ধতিতে ধান চাষ করে নজির গড়লেন ময়নাগুড়ি ব্লকের চূড়াভান্ডার এলাকার রতন বাড়ুই। তিনি এবছর প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে সুধা পদ্ধতির মাধ্যমে ধান গাছ রোপন করেছেন। এমনকি এবারে ধান গাছের চেহারা এবং ফলন বেশ ভালো হয়েছে। আশানুরূপ ফলন হবে বলে আশা বাদী ধান চাষী রতন বাবু।
সুধা পদ্ধতির পুরো কথাটি হল সুনিশ্চিত পদ্ধতিতে ধান চাষ। এই পদ্ধতির মূল কথা হলো সুস্থ সবল এবং শক্তিশালী চারা তৈরি করে মূল জমিতে রোপন করা। এই চারা রোপন করার সময় নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে গুছি প্রতি একটি বা দুটি করে লাগাতে হয়। এর ফলে জমিতে নিড়ানি বা সার দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়। এই পদ্ধতিতে বীজ উৎপাদন করলে এক বিঘা জমির জন্য এক কেজি ধান হলেই হয়ে যায়। স্বল্প মেয়াদি চারা ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যেই মূল চাষের জমিতে রোপন করা হয়ে থাকে। প্রথাগত ধান চাষের পদ্ধতি থেকে সুধা পদ্ধতির চাষ একটু ভিন্ন। তাই সুধা পদ্ধতিতে লাগানো ধান প্রথাগত ধান চাষের দশ দিন আগে কাটা হয়ে থাকে। এছাড়াও সুধা পদ্ধতির মাধ্যমে ধান চাষ করলে বিঘা প্রতি ধান বেশি উৎপাদিত হয় । জলপাইগুড়ি কৃষি দফতর সূত্রে খবর, এই সুধা পদ্ধতি রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার আওতায় ময়নাগুড়িতে ১০০ বিঘা ধান চাষ করা হয়েছে। জেলা কৃষি দফতর বিভিন্ন ফার্মাস ক্লাবের সহযোগিতায় বেশ কিছু উপকরণ দিয়ে এই লাভবান চাষে সহযোগিতা করেছে। এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করলে খুব অল্প খরচে এবং খুব কম সময়ে বেশি উৎপাদন করা সম্ভব হয়। এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি সদর মহকুমার সহ কৃষি অধিকর্তা ডঃ মেহেফুজ আহমেদ বলেন, সুধা পদ্ধতি হলো সুনিশ্চিত পদ্ধতিতে ধান চাষ। এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করলে কম খরচে বেশি ফলন পাওয়া যায়। এতে সময়ও প্রথাগত চাষের থেকে কম লাগে। সুধা পদ্ধতিতে চাষ করার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে করে সমস্ত চাষী ভাইয়েরা এই পদ্ধতিতে চাষ করে উপকৃত হতে পারেন।