উত্তর দিনাজপুর : কালিয়াগঞ্জ : ২রা নভেম্বর ২০২০ : সোমবার : এক মায়ের বিদায়ের বিষন্নতার সুরের মাঝেই আর এক মায়ের আগমনে দিন গুনছে বারো মাসে তেরো পার্বণ পালন করা বাঙালি। দ্বীপালি উৎসব আলোয় আলোয় আলোকজ্জ্বলে মা কালীর আরাধনায় ব্রতী হয় সকলে। তবে এবারে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে শতাব্দী প্রাচীন মন্দিরে ঐতিহ্যবাহী মা বয়ড়া কালী মায়ের পূজা হবে করোনা আবহে জৌলুস বিহীনভাবে। মা বয়ড়া কালীর পূজা হবে প্রতিবছরের মত নিয়মনিষ্ঠা সহকারেই।
কিন্তু তাতে থাকবেনা অন্যান্য বারের মত কোন জৌলুশ। রবিবার কালিয়াগঞ্জের মা বয়রা কালি মন্দির চত্তরে পূজা কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ন সিধান্ত গ্রহণ করা হয়। সিধান্ত হয় এবারের মায়ের পূজায় করোনার বিধিনিষেধের কারনে হবে না কোন পাঁঠা বলি, নেওয়া হবে না কোন রকম মানতের স্যমগ্রী যথা ভোগ, শাড়ি, স্বর্ণালঙ্কার। থাকবেনা অঞ্জলি দেবার কোন রকম ব্যবস্থা। শুধু দূরত্ব বজায় রেখে মাকে দর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। সমগ্র কালিয়াগঞ্জ সহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানতকারীদের প্রচারের মাধ্যমে মা বয়ড়া কালী পূজার এই সিদ্ধান্ত গুলি আগাম জানিয়ে দেবার ব্যবস্থা করা হবে।
সাধারণ সভায় সম্পাদকীয় প্রতিবেদন পাঠ করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ বিকাশ ভদ্র। তিনি সবার কাছে আবেদন করে বলেন, করোনার যে সরকারি বিধিনিষেধ তাতে মন্দির কমিটির এই সিদ্ধান্ত, এছাড়া কোন উপায় ছিলনা। কারন করোনা থেকে বাঁচার কারনে সবার আগে সকলকে সতর্কতা অবলম্বন করতেই হবে। আনন্দের কারনে মানুষের কোন ক্ষতি হোক কেউ তা চায়না। বরং আগামী বছরে এই আনন্দ পুষিয়ে নেবার ব্যবস্থা অবশ্যই করা হবে বলে জানানো হয়। সাধারণ সভায় মায়ের মন্দির নির্মাণ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সর্বসম্মত ভাবে সিধান্ত হয় মায়ের অব্যবহৃত সোনাদানা যে গুলো আছে সেই অর্থেই মন্দির নির্মাণের কাজ কালীপূজার পরে শুরু করে দেওয়া হবে। সভায় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক বিদ্যুৎ বিকাশ ভদ্র, সৌমেশ লাহিড়ী, সহ-সভাপতি তিমির ভদ্র, শ্যামা শিকদার, তপন চক্রবর্তী, গৌর ব্যানার্জী, দেবাশীষ গুপ্তা ,জয়ন্ত বিশ্বাস, মঙ্গল গুহ। সাধারণ সভায় উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।