জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৯ই নভেম্বর ২০২০ : সোমবার : তৃনমুল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে দুর্নিতির অভিযোগ তুলে তৃণমূল কর্মিদেরই বিক্ষোভ, মিছিল এবং ঘেরাও করে রাখলো। মালবাজার মহকুমার বাগ্রাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। সোমবার দুপুর ১২ টা নাগাদ বাগ্রাকোট গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চল সভাপতি রাজেস ছেত্রীর নেতৃত্বে বিশাল মিছিল হয় বাগ্রাকোট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই মিছিল ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতে পৌছয়। শেষে গ্রাম পঞ্চায়েতের গেটে মিছিল আটকে দেয় মালবাজার পুলিশ বাহিনী। তৃণমূল কর্মিরা গেটের সামনেই বিক্ষোভ এ সামিল হন। এলাকায় যাতে কোন অপ্রিতিকর ঘটনা না ঘটে সেই জন্য আগে থেকে এলাকায় মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ বাহিনী। উপস্থিত ছিলেন মালবাজার থানার ওসি শুভাশিস চক্রবর্তী, এস ডি পি ও দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী। বাগ্রাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি রাজেস ছেত্রী বলেন, এই তৃনমুল পরিচালিত এই গ্রাম পঞ্চায়েত দুর্নিতিতে ভরা। গ্রাম পঞ্চায়েতে আসে না প্রধান। সাধারণ মানুষ বিভিন্ন দরকারি কাজে এসে খালি হাতে ঘুরে যেতে হয়। ১০০ দিনের কাজে দুর্নিতি হচ্ছে। এন আর জি এস বা মাটির কাজে কমিশন নেওয়া হয়। ট্রেড লাইসেন্স এর জন্য প্রচুর টাকা নেওয়া হচ্ছে সাধারন মানুষদের কাছ থেকে। গত কয়েক বছর ধরে চলছে দুর্নিতি।
আর এতেই অতিষ্ট হয়ে এদিন গ্রামের মানুষেরা এই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে। এদিন প্রচুর তৃণমূল কর্মিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ঘেরাও এ সামিল হন। তবে সব থেকে বড় কথা সোমবার দিন অঘোষিত গ্রাম পঞ্চায়েত বন্ধ। নেই কোন আধিকারিক, নেই প্রধান, উপ প্রধান। এই ভাবে নিজেদের ইচ্ছে মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত ব্যবহার করছে উপপ্রধান সরীতা সাহী এবং উনার স্বামী রাজু সাহী। সোমবার বিভিন্ন অভিযোগ তুলে গ্রাম পঞ্চায়েতে স্মারক লিপি দিতে আসি। তবে এদিন কোন পঞ্চায়েতের আধিকারিক বা প্রধান -উপ প্রধান না আসায়, গ্রাম পঞ্চায়েতে উপস্থিত মালবাজার বিডিও অফিসের দু আধিকারিকের কাছে আমাদের স্মারক লিপি জমা দেই।
এব্যাপারে উপ প্রধানের স্বামী, তথা জলপাইগুড়ি জেলার তৃনমুল এর সাধারণ সম্পাদক রাজু সাহী বলেন, এই গ্রাম পঞ্চায়েতে কোন দুর্নিতি হয় নি। আমরা সুন্দর ভাবে গ্রাম পঞ্চায়েত চালাচ্ছি। রাজেশ ছেত্রী তিন মাস হয়েছে অঞ্চল সভাপতি হয়েছে। ঠিকাদারি কাজের সুবিধার জন্য এদিন এই ভাবে গ্রাম পঞ্চায়েত ঘেরাও করে তারা। তছাড়া যখন স্মারক লিপি দেবে, তার আগে আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েত এ কিছুই জানায় নি। বাগ্রাকোট গ্রাম পঞ্চায়েত অন্য বিল্ডিং এ স্থানান্তরিত করা হচ্ছে দেখে, সোমবার দিন কোন কর্মিরাই গ্রাম পঞ্চায়েতে আসে নি। জেনেবুঝে বাগ্রাকোট গ্রাম পঞ্চায়েত কে দুর্নাম করছে কিছু তৃণমূল কর্মিরা। এটা ঠিক নয়। এতে তৃনমুল দলের ক্ষতি হবে। এব্যাপারে সমস্ত বিষয় উর্ধতন কতৃপক্ষ কে সব জানিয়েছি।
এব্যাপারে মালবাজার মহকুমার পুলিশ আধিকারিক দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী বলেন, এলাকা উত্তেজনা ছড়িয়ে পরার আগেই নিয়ন্ত্রন করা গেছে। যারা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে ছিলো তাদের বুঝিয়ে অফিস চত্তর থেকে দুরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
