জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ২৬শে নভেম্বর ২০২০ : বৃহস্পতিবার : ময়নাগুড়িতে বন্ধের সমর্থনে জায়গায় জায়গায় বামপন্থী সংগঠনের বিক্ষোভ । এর পাল্টা জবাবে বনধ বিরোধী মিছিল বের করল তৃণমূল কংগ্রেস। বামফ্রন্টের ট্রেড ইউনিয়নের ৯ দফা দাবিতে এদিনের বনধে ময়নাগুড়িতে কোনো বেসরকারি বাস দেখা যায়নি । শুধুমাত্র সরকারি বাস চললেও যাত্রী সংখ্যা ছিল না বলেই চলে। এছাড়াও ময়নাগুড়ির ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিসও বন্ধ ছিল, গোটা ময়নাগুড়ি জুড়ে মেতায়ন ছিল বিরাট পুলিশ বাহিনী। ময়নাগুড়ি শহর বাদে ময়নাগুড়ির বিভিন্ন বাজারে বনধের যথেষ্ট প্রভাব দেখা যায় । ময়নাগুড়ির গ্রামের বাজার তথা, হুসলুডাঙ্গা, পানবাড়ি, আমগুড়ি, জল্পেশ বাজারে দোকান পাঠ বন্ধ ছিল । বেশ কিছু দোকান খুললেও বনধ সমর্থকরা এসে দোকান বন্ধ করে দিয়ে বনধকে সমর্থন করার জন্য অনুরোধ জানায়।
এদিন সকাল সকাল ময়নাগুড়ি-চ্যাংড়াবান্দা জাতীয় সড়কের ভোটপাট্টি এলাকায় বনধ সমর্থকরা বনধের সমর্থনে রাস্তার মাঝখানে বসে পড়েন। আটক হয়ে পড়ে সরকারি বাস। ঘটনাস্থলে ময়নাগুড়ির থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী পৌছায়। বনধ সমর্থক এবং পুলিশের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এর পর বনধ সমর্থকরা রাস্তায় বসে পড়ে পথ অবরোধ করেন। কিছুক্ষণ প্রতীকি পথ অবরোধ করার পর তারা পথ অবরোধ তুলে নেয়।
ময়নাগুড়ি শহরেও মিছিল বের করে বামপন্থী সংগঠন। ময়নাগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় বনধ সমর্থনকারীরা মিছিল করেন এবং সকলকে বনধ সমর্থন করার অনুরোধ করেন। অন্যদিকে বনধের বিরোধিতায় ময়নাগুড়িতে মিছিল বের করে তৃণমূল কংগ্রেস । মিছিল বের করে তারা বনধের বিরোধিতা করে। তৃনমূল কংগ্রেসের কর্মীরা এই বনধকে অসামাজিক বলে দাবী করেন। এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ময়নাগুড়ির ব্লক সভাপতি মনোজ রায় বলেন, লকডাউনের কারণে সাধারণ মানুষ খুবই অসহায় অবস্থায় রয়েছেন, ঠিক এই সময়ে বনধের কারণে সাধারণ মানুষের খুব ক্ষতি হবে ,তাই আমরা বনধের বিরোধিতায় মিছিল করলাম। এই বন্ধ শ্রমিক এবং সাধারণ মানুষের জন্য নয় বলে দাবি করেন তৃনমূল কংগ্রেসে নেতা মনোজ রায়। অন্যদিকে এসএফআই- এর জেলা সভাপতি রাজিউল ইসলামের দাবি, ময়নাগুড়িতে বনধ সর্বাঙ্গিন সার্থক। ময়নাগুড়ির মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বনধকে সমর্থন করেছে।