জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৮শে নভেম্বর ২০২০ : শনিবার : হাতি মানেই সাক্ষাৎ মৃত্যু, এই ধারনা, সব সময় ঠিক নয়। শনিবার রাত ১২-৩০ টায় মেটেলী ব্লকের কিলকোট চা বাগানের একটি ঘটনা হাতির সন্বন্ধে মানুষের ধারনা পালটে দিল। কিলকোট চা বাগানের মুর্তি লাইন। রাত ১২টার পর একটা হাতি চাপড়ামারী জঙল থেকে বেরিয়ে ঢোকে কিলকোট চা বাগানের মুর্তি লাইনে। রাতের বেলা সবাই গভীর ঘুমে।
হাতিটি এসে পড়ে বিনোদ মুন্ডার বাড়ীতে। ভেঙে দেয় বাড়ির বেড়া। হাতি দেখে সবাই ভীত হয়ে বাইরে চলে আসে বাড়ীর লোকেরা। কিন্তু বিনোদ মুন্ডার ছেলে ১৮ বছরের যুবক সুনীল মুন্ডা পড়ে যায় হাতির সামনে। হাতিটি চোখের নিমেষে তাকে শুড়ে তুলে নেয়। দূর থেকে সবাই ভাবল এখুনি হাতি মেরে ফেলবে যুবক সুনীল মুন্ডাকে। শুড় দিয়ে আছড়ে ফেলবে সুনীলকে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে কিছুদুর গিয়ে এক বাড়ীর সামনে হাতি ফেলে যায় সুনীল মুন্ডাকে। এরপর হাতি জঙলে চলে যায়। খুনিয়া রেঞ্জের ডেপুটি রেঞ্জার জয়দেব রায় জানান, খবর পেয়ে সেখানে বনদপ্তরের কর্মীদের নিয়ে সেখানে যান। আহত সুনীল মুন্ডাকে নিয়ে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জয়দেব রায় জানান, সুনীল মুন্ডা এখন ভাল আছে। এরকম ঘটনা মনে করিয়ে দেয় ২০১৯ সালে খেরকাটার ঘটনা।সেখানে এক শিশুকে হাতি শুড় দিয়ে তুলে এক নিরাপদ জায়গায় রেখে চলে যায়। কোন ক্ষতি করেনি শিশুটিকে। জনসাধারনকে সচেতন হয়ে বন্য প্রানী সন্বন্ধে ধারনা পাল্টাতে হবে। আমরা হাতি দেখলেই মারমুখী হয়ে উঠি, আক্রমন করি, উত্বক্ত করি। কিন্তু কিলকোট চা বাগান ও খেরকেটার ঘটনায় মানুষ বন্য প্রানী সন্বন্ধে তাদের ধারনা এবার কি পাল্টাবেন? হবেন কি সহনশীল।