জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১লা ডিসেম্বর ২০২০ : মঙ্গলবার : তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে আহত ১১ জন। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। মালবাজার মহকুমার বন্ধ মানাবাড়ি চা বাগান এলাকার ঘটনা। জানা গেছে, বন্ধ মানাবাড়ি চাবাগান গত পাচ বছর ধরে বন্ধ। এরপর মালিকানা বদলের মাধ্যমে বাগান খুলতে চলেছে ৭ই ডিসেম্বর। ইতিমধ্যে বাগানে পুজো দিয়েছে গেছেন বাগানের ম্যানেজার। মঙ্গলবার দিন মানাবাড়ি চাবাগানে বিজেপি কর্মিরা ঝান্ডা লাগিয়ে দেয়।
এরপর তৃণমূল চা শ্রমিকেরা বিজেপির ঝান্ডা দেখে ক্ষিপ্ত হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং অবশেষে মারপিট এর আকার নেয়। আর এতেই দুই পক্ষের মোট ১১ জন চা শ্রমিক আহত হয়। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মহিলা চা শ্রমিকও রয়েছে। এই চা বাগানের শ্রমিক তথা তৃণমূল কর্মী বিমল ওড়াও, রমেস কুর্মি, মালি ওড়াও দের বক্তব্য গত ৫ বছর ধরে মানাবাড়ি চা বাগান বন্ধ রয়েছে। সেই থেকে বাগানের যারা তৃণমূল করি তারা আন্দলন করে আসছি। সেই মতো আমাদের জন্যই এই মানাবাড়ি চা বাগান খুলতে চলেছে। বাগানে শুধু মাত্র তৃণমূল এরই ঝান্ডা ছিলো।
এত দিন আমরা আন্দোলন করে যখন বাগান খুলছি তখন এই সময় বিজেপির কেন ঝান্ডা চা বাগানে লাগাবে। তাই আমরা বিজেপি কর্মীদের বলেছিলাম আগে বাগানটা খুলুক তারপর মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে ঝান্ডা লাগাবে। কিন্তু এই কথা তারা মানতে না চেয়ে আমাদের তৃণমূল কর্মীদের বাঁশ,পাথর দিয়ে মারতে শুরু করে। আর এতেই আমাদের ৬ জন আহত হয়, মহিলাদেরও মারা হয়। এরপর আমরা মালবাজার পুলিশ কে খবর দেই। বর্তমানে ঘটনা স্থলে পুলিশ রয়েছে। অন্য দিকে চা বাগানের শ্রমিক তথা বিজেপি কর্মী সুশমা লামা, সিলবিনা ওড়াও বলেন, বাগান নিয়ে এত মিটিং হয়েছে তাতে তৃণমূল কর্মীরা কোন দিন আমাদের ডাকে নি। কোলকাতায় শেষ মিটিং এও আমাদের ডাকা হয় নি। এই বাগানে আমরাও শ্রমিক। তাই মঙ্গলবার দিন সকালে আমরা বাগানের গেটে বিজেপির ঝান্ডা লাগিয়ে দেই। এরপর দুপুর নাগাদ তৃণমূল এর কর্মীরা আমাদের বাড়িতে এসে মারধর করে। মহিলাদের গায়ে হাত দেয়। জামাকাপড় ছিড়ে দেয়। আমাদের ৪-৫ জন আহত হয়। বাড়ির গেট ভেঙ্গে দেয়। এব্যাপারে আমরা মালবাজার থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। জানা গেছে দুই পক্ষেই মালবাজার থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। ঘটনা স্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।