জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ২রা ডিসেম্বর ২০২০ : বুধবার : এবছর করোনা পরিস্থিতির কারণে মানুষের দৈনন্দিন জীবন রীতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। বাজারে অনেক কিছুর দাম প্রায় আকাশ ছোঁয়া। এদিকে এই কঠিন পরিস্থিতে কৃষি কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ কৃষকরাও। এবছর গত বছরের তুলনায় আলুর বীজের দাম প্রায় তিনগুণ বেশী। যার কারনে আলুর বীজের অত্যাধিক মূল্য বৃদ্ধির জন্য আলু চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন অনেক চাষী। অনেকে আবার বিকল্প চাষের চিন্তাভাবনা করছেন ক্ষুদ্র আলু চাষীরা।
বর্তমান সময় আলু চাষের উপযুক্ত সময়। তবে আলু বীজের দাম সহ সারের দাম অত্যাধিক হয়ে পড়ায় চিন্তিত কৃষকরা। কৃষকদের অভিযোগ, যে পরিমান খরচ আলু চাষ করতে হয়। তা বিক্রির সময় খুব সমস্যা হয়। অনেক ক্ষেত্রে ব্যাপক লোকসান করতে হয়। তাই অনেকেই বিগত বছরের তুলনায় এবছর অনেক কম পরিমাণ জমিতে আলু চাষ করছেন তারা। অনেক ক্ষুদ্র আলু চাষী এবার পরিবর্তে অল্প পুঁজির বিকল্প চাষ যেমন সরিষা, ভুট্টা, মটরশুঁটি, বাদাম, শসা, লঙ্কা, চাল কুমড়ো, বেগুন, করলা, চিচিঙ্গা ইত্যাদি চাষ করছেন বলে তারা জানিয়েছে।
ময়নাগুড়ির খাগড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের এক চাষী বলেন, গত বছর ৭০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলাম। তবে এবছর আলুর বীজের অত্যাধিক দামের জন্য ২৬ বিঘা জমিতে আলু চাষ করছি। তার উপর এবছর সারের দামও দিন দিন বাড়ছে। গতবার আলুর বীজের যে বস্তা ২৭০০ টাকা প্রতি বস্তা কিনেছিলাম এবছর সেই বীজ ৭০০০ টাকা প্রতি বস্তা। তাই আলু চাষ কম করছি। চূড়াভান্ডারের চাষি অশিম রায় বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর খুবই কম পরিমাণ জমিতে আলু চাষ করছি। আলুর বীজের অত্যাধিক দামের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিবর্তে বিকল্প চাষ যে গুলিতে খুব কম পুঁজি লাগে যেমন সরিষা, ভুট্টা ইত্যাদি চাষ করব। আর এক চাষী গণেশ হালদার বলেন, আলু চাষে প্রচুর পুঁজির প্রয়োজন হয়। যা আমরা সরকারি ও বেসরকারি ঋণ করে করে থাকি। এবছর আলুর বীজ ও সারের যে দাম তাতে ঋণ করে আলু চাষ করা মানে লটারিতে টাকা লাগানো। ভালো বাজারদর না পেলে চাষিরা খুবই ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।