জলপাইগুড়ি : নাগরাকাটা : ৮ই ডিসেম্বর ২০২০ : মঙ্গলবার : ঝা চকচকে নার্সিং হোমের চেহারা নিলো নাগরাকাটার সুলকাপাড়া গ্রামীন হাসপাতাল। উন্নত পরিকাঠামো তৈরি করে নব রূপায়িত ওই হাসপাতালটির মঙ্গলবার একাধিক বিভাগের দ্বারোদঘাটন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন কোভিড-১৯ এর উত্তরবঙ্গের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ডাঃ সুশান্ত রায়, জলপাইগুড়ির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ রমেন্দ্র নাথ প্রামাণিক, নাগরাকাটার বিধাযক শুক্রা মুন্ডা, জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (দুই) ডাঃ মৃদুল ঘোষ, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুপর্ণ হালদার সহ আরো অনেকে। ডাঃ সুশান্ত রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গ্রাম বাংলার স্বাস্থ্য পরিসেবার উন্নতিই রাজ্য সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
এরই অঙ্গ হিসেবে চা বাগান ও বহু প্রত্যন্ত এলাকা নিয়ে গঠিত নাগরাকাটা ব্লকের সুলকাপাড়া গ্রামীন হাসপাতালের পরিকাঠামো আরো উন্নত করা হলো। চালু থাকা পরিসেবাগুলির বাইরেও আরো নতুন কিছু পরিসেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। সে সবও ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হবে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, রুগী বান্ধব নয়া আঙ্গিকের এই হাসপাতাল যে অচিরেই গোটা জেলারই গর্ব হযে উঠবে সেই বিশ্বাস আমাদের রয়েছে। এখানকার ডাক্তার, নার্স সহ সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীরাই পরিসেবা প্রদানে দৃঢ় সংকল্পিত। এলাকার বাসিন্দারাও যাতে তাঁদেরই সম্পদ হাসপাতালের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িযে দেয় সেই অনুরোধ রাখা হয়েছে। সুলকাপাড়া গ্রামীন হাসপাতালের ওপর প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ স্বাস্থ্য পরিসেবার ওপর নির্ভরশীল।
পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে সেখানকার মোট ৩০ শয্যার অন্তর্বিভাগকে পুরো ঢেলে সাজানো হয়েছে। আধুনিক বেড, মেঝেতে ঝা চকচকে টাইলস, প্রতি বেডে অক্সিজেনের পয়েন্টের ব্যবস্থা সেখানে করা হয়েছে। নতুন করে সাজানো হয়েছে ল্যাবরেটরিও। এক ছাতার তলায় সেখানে এখন যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা হবে। রয়েছে রুগীর পরিবারের সদস্যদের রিপোর্ট সংগ্রহের জন্য অপেক্ষার আলাদা জায়গা। বসানো হয়েছে করোনা টেস্টের জন্য দুটি ট্রু ন্যাট মেশিন। প্রতিটি মেশিনের দুটি করে চেম্বার। যার অর্থ এক সাথে দুটি নমুনা সেখানে পরীক্ষার জন্য বসানো যাবে। ওই ট্রু ন্যাট যন্ত্র দিয়ে যক্ষ্মার পরীক্ষাও করা যাবে বলে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন। এদিন স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে হাসপাতালে যাতে একটি এক্স-রে মেশিন বসানো হয় সেই দাবি উঠে আসে। সেটাও পূরণ হবে বলে আশ্বাস মিলেছে। স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে বর্তমানে সুলকাপাড়া গ্রামীন হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে যে সব রুটিন পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে এর বাইরে আরও যে সমস্ত পরীক্ষার হামেশাই প্রয়োজন হয় সেগুলিও হাসপাতাল থেকেই নিখরচায় দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।