উত্তর দিনাজপুর : কালিয়াগঞ্জ : ১৫ই ডিসেম্বর ২০২০ : মঙ্গলবার : রাজ্য সরকারের উন্নয়নের ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড হাতে নিয়ে কালিয়াগঞ্জ শহরের কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রসাশক কার্তিক চন্দ্র পাল এখন পৌছে যাচ্ছেন বাড়ি বাড়ি। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন আসছে। আর এই বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বিভিন্ন কোনায় কোনায় দলীয় নেতৃত্বের মাধ্যমে সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছানোর জন্য বঙ্গধ্বনি আওয়াজ তুলে নির্দেশ দিয়েছেন।
সেই নির্দেশকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করার জন্য কালিয়াগঞ্জ শহরের দলীয় সৈনিকদের নিয়ে পৌরসভার প্রসাশক রিপোর্ট কার্ড হাতে নিয়ে বাড়ি বাড়ি গেলেন রাজ্য সরকারের সাফল্য নিয়ে। কার্তিক বাবু এই সাফল্যের খতিয়ান প্রথমে শুরু করেন মহেন্দ্রগঞ্জ নাট মন্দির চত্বর থেকে। আর যখন তিনি নাট মন্দির চত্বরে সরকারের ১০ বছরের খতিয়ান পেশ করলেন সকলের কাছে তখন সাধারণ মানুষরা তাকে বলেন আমরা সকলেই রাজ্য সরকারের কাজে খুশি এবং আগামী দিনে এই সরকারের পাশেই আমরা থাকবো।
একের পর এক কার্তিক বাবু প্রথমে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বেশকিছু বাড়িতে গেলেন এই কার্ড নিয়ে পরে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে যান। উল্লেখ্য, অনেক সময় দেখা যায় দলীয় নেতারা যখন কোন জায়গায় যান কোন মানুষের বাড়িতে তখন অনেক অভিযোগ শুনতে হয় তাদেরকে। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে উল্টোটাই দেখা গেল কার্তিক বাবু যখন বাড়ি বাড়ি গেলেন তখন। সেই বাড়ির প্রতিটি মানুষই কার্তিক বাবুকে দেখে বলতে থাকেন আপনি তো অনেক কাজ করে গেলেন আর কি বলব। আপনার তুলনাই হয়না। এরকম মানুষই আমরা চাই। আর রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের স্বার্থে যে কাজ করে চলছে তাতে আমরা ভীষণ খুশি।
এই ভাবেই দেখা গেল কালিয়াগঞ্জ এর পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য বসন্ত রায় কে সঙ্গে নিয়ে এবং দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ি বাড়ি যেতে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন চারিদিকে গোষ্ঠী কোন্দল, দলবদল এগুলো খবরের শিরোনামে থাকছে ঠিক তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ ধন্য কালিয়াগঞ্জ এর পৌর প্রশাসক কে দেখা গেলো আপন খেয়ালে দলীয় কর্মীদের এক করে বঙ্গধ্বনি আওয়াজ তুলে বাড়ি বাড়ি যেতে। প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই দশ বছরে যে কাজ হয়েছে রাজ্যে তার তুলনাই হয় না। স্বাস্থ্য, শিক্ষা থেকে আরম্ভ করে সব দিক দিয়ে এই সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তিনি নিজে হাতে সকল নাগরিকের কাছে দিতে পেরে তিনি ও গর্বিত। তিনি বলেন, আগামী কয়েকদিন ধরে আরো বহু মানুষের বাড়িতে রাজ্য সরকারের এই সাফল্যের খতিয়ান তিনি তুলে ধরবেন।