উত্তর দিনাজপুর : কালিয়াগঞ্জ : ২৮শে ডিসেম্বর ২০২০ : সোমবার : দুই মাস ব্যাপী বঙ্গধ্বনি যাত্রায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তের সাথে উঃ দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃক পৌর এলাকায়। ১৭ টি ওয়ার্ডে ৪ টি তারিখ নির্ধারণ করে বিভিন্ন ক্যাম্প তৈরী করে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির ১২ টি প্রকল্পের পরিষেবা প্রদান করার কাজ শুরু হয়েছে। ১২ টি প্রকল্পের মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক মানবিক চিন্তা নিয়ে রাজ্যের সকল পরিবারের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন চিকিৎসা পরিষেবায় স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। প্রতিটি ক্যাম্পে সকল নাগরিকরা গিয়ে নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করে জমা দিচ্ছেন এবং পৌরসভা কর্তৃক সেই পরিবারের কাছে ফটো তুলে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেওয়ার জন্য একটি নির্ধারিত তারিখ জানিয়ে দেওয়ার পরে সকলে ঐ নির্ধারিত তারিখে পৌরসভার অফিসে গিয়ে স্বাস্থ্য সাথীর জন্য ফটো তুলে হাতে হাতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।
কিন্তু ২৮শে ডিসেম্বর সোমবার এক ভিন্ন চিত্র দেখতে পাওয়া গেল কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌর প্রশাসক মন্ডলির সদস্য এবং স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের দায়িত্বে থাকা পৌর কর্মীদের যৌথ প্রয়াসের মানবিক পরিষেবা। কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের পাবনা কলোনির বাসিন্দা ৭৫ বছরের পার্বতী সাহা এবং হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা অসুস্থ চলাফেরা করতে অক্ষম সুকেশ চন্দ্র পাল স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পেতে আবেদন করেন ঐ ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর শচীন সিংহ রায় কে। এই আবেদন প্রাক্তন কাউন্সিলর কালিয়াগঞ্জ পৌরসভায় গিয়ে অনুরোধ করলেই সাথে সাথেই দুই বৃদ্ধ বৃদ্ধার পাশে তাদের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়ে যান কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার আশুতোষ বিশ্বাসের নেতৃত্বে পুরো টিম। এই মানবিক পরিষেবার টিমে ছিলেন পুর প্রশাসক মন্ডলির সদস্য রাজীব সাহা, পুর স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সুরজিৎ কৈরী, স্বাস্থ্য সাথী শিবিরের দায়িত্বে থাকা শুভ্র প্রতীম রায় এবং প্রাক্তন কাউন্সিলর শচীন সিংহ রায়।
অফিস থেকে পুরো মেশিনপত্র উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ঐ বৃদ্ধ বৃদ্ধার বাড়িতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সাড়া জাগানো প্রকল্পের সুবিধা পেতে রাজ্য জুড়ে যেমন সকল রাজ্য বাসীকে আনন্দে মাতোয়ারা হতে দেখা গেছে তেমনি এই দুই বৃদ্ধ বৃদ্ধা তাদের ইচ্ছা কে তাদের বাড়িতে গিয়ে পূরণ করতে পেরে কালিয়াগঞ্জ পৌর প্রশাসন মানবিক দিক দিয়ে ভীষন আনন্দিত তেমনি বাড়িতে বসেই পৌরসভার এই মানবিক পরিষেবা পেয়ে দুই হাত তুলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে আশীর্বাদ করতেও দ্বিধা করেন নি। মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক পরিষেবা দেখলো কালিয়াগঞ্জ বাসী। এলাকার সকলেই উচ্চ প্রশংসা করেছে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার এহেন মানবিক পরিষেবার।