জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ৩১শে ডিসেম্বর ২০২০ : বৃহস্পতিবার : প্রতি বছর শীত পড়তেই বাজারে দেখতে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরণের কমলালেবু। কিন্তু এবছর তার অনেকটাই ব্যতিক্রম ঘটেছে বাজারে। যেখানে অন্যন্য বছরে শীতের সময় কমলালেবুর চাহিদা তুঙ্গে থাকে সেখানে এবার কমলালেবু বাজারে এলেও তাঁর আকাশ ছোঁয়া দাম। তাই সমস্যায় পড়েছেন ময়নাগুড়ির পাইকারি এবং ক্ষুদ্র ফল ব্যবসায়ীদের। ময়নাগুড়ি বাজারের ফলের দোকানে শীতের সময় যেমন ভুটানের কমলালেবু জায়গা করে নিতো। কিন্তু এবছর তার ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা গেছে। বাজারে ভুটানের কমলালেবুর জোগান একেবারেই সামান্য। করোনা পরিস্থিতির কারণে লকডাউনের ফলে বাগান পরিচর্যা থেকে শুরু করে উৎপাদনে ঘটতি লক্ষ্য করা গেছে। অন্যদিকে ভুটানের সেই কমলালেবু বাজারে আনতে অধিক আমদানি খরচ হচ্ছে বলে দাবি করেন ময়নাগুড়ির পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
এমতাবস্থায় ময়নাগুড়ির ফলের দোকানে জায়গা দখল করেছে নাগপুর, পাঞ্জাবের কমলালেবু। তবে ফল বিক্রেতারা জানান ভুটানের কমলালেবুর তুলনায় নাগপুর, পাঞ্জাব এর কমলালেবুর বাজার নেই। ফলে করোনার কারনে কার্যত কমলালেবুর বাজার নিয়ে ধন্দে রয়েছেন ময়নাগুড়ির ফল ব্যবসায়ীরা। ময়নাগুড়ির এক ফল ব্যবসায়ী বলেন, এবার বাজারে ভুটান এবং দার্জিলিং এর কমলালেবু নেই। যদিও সামান্য আসছে তাতে বাজার দর আকাশ ছোঁয়া, সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। পাঞ্জাব, নাগপুর থেকে কমলালেবু আসলেও সে রকম বাজার নেই। ফলে এবছর কমলালেবুর ব্যবসা একেবারেই নেই বললেই চলে।
ময়নাগুড়ির পাইকারি ফল বিক্রেতা রতন মজুমদার বলেন, দার্জিলিং এবং ভুটানের উৎপাদন খুবই খারাপ। কোভিড পরিস্থিতির জন্য ওখানে লকডাউন চলছে আমাদের দ্বিগুণ খরচা করে কমলালেবুর আমদানি রপ্তানি করতে দিচ্ছে। ফলে বাজার দর খুবই বেশি এবার কমলালেবুর। এবছর বাজার দর কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশে ভুটানের কমলালেবু গেলেও খুবই সামান্য পরিমাণে যাচ্ছে।