জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৫ই জানুয়ারী ২০২১ : মঙ্গলবার : মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রজেক্ট গাজোলডোবায় ভোরের আলো। এই পর্যটন কেন্দ্র কে ঘীরে যেমন প্রচুর পর্যটক আসছে এই গাজোলডোবায়। তেমন এলাকার বিভিন্ন ব্যাবসায়ীরাও খুশি। কারন পর্যটক আশায় ব্যাবসা-বানিজ্য ভাল হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের জন্য দীর্ঘদিন লক ডাউন থাকায় গাজলডোবায় পর্যটকদের দেখা যাচ্ছিলো না। তেমনি ব্যাবসা বানিজ্য ভাল ছিলো না। নতুন বছর থেকে পর্যটকদের ঢল নেমেছে গাজোলডোবায়। আর এতে খুশি এলাকার সব ব্যাবসায়ীরা। কিন্তু সোমবার রাতে যে ভাবে গন্ডোগোল হলো গাজোলডোবার ভোরের আলোর কাছে। যে ভাবে স্থানীয় দোকানপাঠ ভাংচুর এবং ব্যাবসায়ীদের মারধর করেছে দুস্কৃতিরা তাতে যেমন আতঙ্ক ব্যাবসায়ীরা, তেমনি আতঙ্ক পর্যটকেরাও। এলাকার ব্যাবসায়ী ভজন বালা বলেন এই গন্ডোগোল এত জন্য পর্যটকেরা আসবে না। কারন পর্যটকেরা কিসের নিরাপত্তা নিয়ে এখানে আসবে? পুলিশকেই যেখানে মারা হচ্ছে। এতে খুব খারাপ অবস্থা হবে ব্যাবসায়ীদের৷ এব্যাপারে জলপাইগুড়ি জেলার বিজেপির সাংসদ ডক্টর জয়ন্ত রায় বলেন, শাসক দল যে ভাবে রাজ্যে হিংসা, গুন্ডামি করছে, তাতে পশ্চিমবঙ্গের কোন জায়গায় পর্যটকেরা নিরাপত্তায় নেই।
সোমবার রাতে তৃণমূল দলের গুন্ডাবাহিনী যে ভাবে অস্ত্র হাতে গাজোলডোবার ব্যাবসায়ীদের দোকানপাঠ ভাংচুর, লুঠ করেছে, ব্যাবসায়ীদের মেরেছে। তাতে পর্যটকদের নিরাপত্তা কোথায়। এত ক্ষতি হয়েছে তার দায় কে নেবে। এই তৃণমূল সরকারের জন্য গাজোলডোবার পর্যটন ব্যাবসা মুখ থুবড়ে পরবে। এলাকার ব্যাবসায়ী সরস্বতী বিশ্বাস বলেন, সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ জেলার তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাসের লোকজন গাজোলডোবা এসে তান্ডব চালায়। দোকান থেকে জিনিস কিনে টাকা পয়সা দেবে না বলে জানায়৷ পুলিশ এলে পুলিশ কেও পেটায়। এরপর স্থানীয় ছেলেপেলেরা অভিযুক্তদের বকাবকি করে এবং ধাক্কাধাক্কি দেয়। এরপর রাতের দিকে কৃষ্ণ দাসের আরো গুন্ডাবাহিনি এসে এলাকায় একের পর এক দোকান ভাঙ্গে। সবার হাতে লোহাড় রড, তরোয়াল, তীর ধনুক এবং বন্দুকও ছিলো। বহু দোকান ভাঙ্গচুর এর পাশাপাশি টাকা পয়সাও লুঠ করে নিয়ে যায়৷ আমাকেও থাপ্পড় মারে। একজনের হাতে তীর মারে দুস্কৃতিরা।
এই ভাবে অত্যাচার চলতে থাকলে কোন পর্যটকই আসবে না গাজোলডোবায়। আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? ক্ষতিপুরণই বা কে দেবে? এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হলো না। তাই সকাল থেকে ব্যাবসায়ীরা দোকান পাঠ বন্ধ করে রোড ব্লক করেছে। সকালের দাবী এলাকায় শান্তি ফিরে আসুক এবং দুস্ক্রতিদের কঠোর শাস্তি হোক। তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস, জানিয়েছেন এর সঙ্গে তৃণমূল জরিত নয়।