জলপাইগুড়ি : ধুপগুড়ি : ৮ই জানুয়ারী ২০২১ : শুক্রবার : তিনি পদ্মশ্রী করমুল হক, তার ধর্ম মানুষের সেবা করা। রাত-বিরেতে রুগীকে অ্যাম্বুলেন্স বাইকে করে নিয়ে যান হাসপাতালে। তাই তো তাকে ডাকা হয় অ্যাম্বুলেন্স দাদা বলে। তার এই কৃতিত্বের জন্য ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী সন্মান প্রদান করেছে। ধূপগুড়ির এক দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত এক শিশুর পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার নজির গড়লেন তিনি।
ধূপগুড়ির ১ নং ওয়ার্ডের জঙ্গলপাড়া এলাকার পেশায় দর্জি কৃষ্ণচন্দ্র দাসের মেয়ে তানিশা দাস দেড় বছর বয়স থেকেই বঙ্কাইটিস তথা ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত। দেড় বছর থেকেই বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েও সুস্থ হয়নি তানিশা দাস। ডাক্তাররা বারংবার ভালো জায়গায় চিকিৎসা করার কথা বলেছেন। কিন্তু, দিন আনা দিন খাওয়া সংসারে, চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেনি তানিশার বাড়ির লোকজন। ফলে, ছোট মেয়েটির মুখের দিকে তাকিয়ে অনাগত ভবিষ্যতের কথা ভেবে হতাশ হয়েছে তানিশার পরিবার। কোনো ভাবে, এই খবর জানতে পারেন ধুপগুড়ির বিধায়ক মিতালী রায়। সম্প্রতি তিনি সেই বাড়িতে যান এবং এই ঘটনার বিবরণ সোশ্যাল মিডিয়ায় দেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এই খবর জানতে পারেন পদ্মশ্রী করিমুল হক।
এরপর তড়িঘড়ি ধূপগুড়িতে ছুটে আসেন পদ্মশ্রী করিমুল হক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধুপগুড়ির বিধায়ক মিতালী রায়কে নিয়ে তিনি শিশুটির বাড়িতে যান এবং কলকাতার আরএন টেগোর হাসপাতালে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করে দেন। করিমুল হকের এই উদ্যোগে ফের ছোট্ট শিশুটি বাড়ির উঠোনে খেলা করবে, ছুটে যাবে বিদ্যালয়ে, হয়ে উঠবে দেশের ভবিষ্যৎ। করিমুল হকের মহান এই উদ্যোগের কথা শুনে ধন্য-ধন্য করছেন ধূপগুড়িবাসী। ধুপগুড়িবাসীর কথায়, এই কারনেই উত্তরবঙ্গের প্রান্তিক এলাকায় থাকা সত্ত্বেও করিমুল হক কে ডেকে নিয়ে গিয়ে সেলফি তোলেন প্রধানমন্ত্রী।