জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ১৮ই জানুয়ারী ২০২১ : সোমবার : তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকে খুনের ঘটনা ঘটলো রবিবার রাতে। গভীর রাতে ময়নাগুড়ি ব্লকের সাপ্টিবাড়ী ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা রঞ্জিত অধিকারীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে গোটা সাপ্টি বাড়ি এলাকায়। ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে ৪জনকে আটক করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।
জানা যায়, সাপ্টি বাড়ি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের রহমত তুলা এলাকায় তৃণমূলের এক কর্মীসভা হয়। সেখান থেকে ফেরার পথে তার দলীয় নেতারা তাকে বাড়ি থেকে প্রায় ২০-২৫ মিটার দূরে নামিয়ে দিয়ে চলে যান। সেই সময় আচমকা রঞ্জিত অধিকারীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। এরপর তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ময়নাগুড়ি গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানুতর শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের তরফ থেকে বিজেপিকে এই ঘটনায় দায়ী করা হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির তরফ থেকে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবী করে ঘটনাকে অস্বীকার করা হয়েছে। এই বিষয়ে সাপ্টি বাড়ি ১ অঞ্চলের রহমত তুলা বুথের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মহেন্দ্র রায় বলেন, আমরা কালকে সম্মেলন করে বাড়ি আসার পথে রঞ্জিতকে তার বাড়ির ২০-২৫ মিটার দূরে নামিয়ে দিয়ে চলে যাই। এরপর খবর পাই তাকে কয়েকজন দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে।
অন্যদিকে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সম্পাদক চঞ্চল সরকার বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি সন্ত্রাসে বিশ্বাসী নয়। এটা তাদের গোষ্ঠী কোন্দল, কাটমানি, বালি মাফিয়া এই নিয়ে তাদের বিবাদ। সামনেই নির্বাচন তার সামনে আমাদের দলকে বদনাম করার জন্য এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে আমাদের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনার তদন্তে নেমেছেন ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চারজনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার মৃতদেহটি ময়নাগুড়ি থানায় নিয়ে আসা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। ইতিমধ্যে এই খবর শুনেই ময়নাগুড়ি থানায় ছুটে এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। এদিন খবর পেয়ে ময়নাগুড়ি থানায় আসেন জলপাইগুড়ি এসসি এসটি ওবিসি সেলের সভাপতি কৃষ্ণ দাস, ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালি রায়, ময়নাগুড়ি ১ নং ব্লক সভাপতি মনোজ রায় সহ প্রমুখরা।