জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ১৯ই জানুয়ারী ২০২১ : মঙ্গলবার : নদীতে স্নান করতে গিয়ে নদীর জলে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হল ময়নাগুড়ির এক লটারী বিক্রেতার। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ির বাজার সংলগ্ন জর্দা নদীতে। জানা গেছে, ময়নাগুড়ি বাজারের লটারী বিক্রেতা তথা ময়নাগুড়ির দেবীনগর এলাকার বাসিন্দা কানু মালাকার (৪৮), মঙ্গলবার সকাল ৭ টা নাগাদ দোকান খুলে ময়নাগুড়ির বাজার সংলগ্ন জর্দা নদীতে স্নান করতে যান। কিন্তু দীর্ঘক্ষন পরেও দোকানে ফিরে না আসায় পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ীদের সন্দেহ হয়। এরপর খবর দেওয়া হয় তার বাড়ির লোকজনদের। বাড়ির লোকজন ছুটে এসে নদীর পাড়ে গিয়ে ওই ব্যক্তিটি জামা সহ মোবাইল ফোন দেখতে পায়। এরপর খবর দেওয়া হয় ময়নাগুড়ি থানার পুলিশকে।
তড়িঘড়ি ময়নাগুড়ির থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের খবর দেন। প্রায় এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা, ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে। এরপর দেহটি ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপর মৃতদেহটি ময়নাগুড়ি থানায় নিয়ে আসা হয়। ময়নাগুড়ি পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ময়নাগুড়ি বাজার সংলগ্ন জর্দা নদীর ওই এলাকায় এর আগেও বেশ কয়েকটি এরকম দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরপর প্রশাসনের তরফ থেকে সেখানে স্নান না করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। তারপরও এরূপ ঘটনায় এদিন ময়নাগুড়িতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মৃতের দাদা বাদল মালাকার বলেন, দেবীনগরে শ্বশুরবাড়িতে থেকে আমার ভাই ময়নাগুড়িতে লটারীর দোকান করত। সে প্রতিদিন সকালে নদীতে স্নান করত। মঙ্গলবার সকালে নদীতে স্নান করতে গেলে তলিয়ে যায়। মৃতের শ্বশুর দুলাল সরকার বলেন, জামাই প্রতিদিনের মতো এদিন সকালে দোকান খোলে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ পরেও দোকানে না ফেরায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আমাদের খবর দেয়। আমরা খবর পেয়ে নদীতে গিয়ে দেখি তার জামাকাপড় এবং মোবাইল পড়ে আছে। তাতে আমাদের সন্দেহ হয় এবং ময়নাগুড়ি থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। এরপর দেহটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত বলে ঘোষণা করে।