জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৩শে জানুয়ারী ২০২১ : শনিবার : তৃণমূল এর দুই গোষ্ঠি সংঘর্ষ এ উত্তপ্ত হয়ে উঠল মালবাজার মহকুমার বাগ্রাকোট এলাকা। দুই পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছে। দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মালবাজার মহকুমার বাগ্রাকোট এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালো তৃণমূল এর এক গোষ্ঠি। এলাকায় মোতায়েন মালবাজার পুলিশ।
বাগ্রাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি রাজেস ছেত্রী বলেন, শুক্রবার রাতে বিনা কারনে বাগ্রাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের ওয়াসাবাড়ি তৃণমূল নেতা রাজু সাহীর ছেলেরা এসে আমার বাড়ির পেছনে আমার দলের ছেলেদের অস্ত্র হাতে মারধোর করে। এতে আমার এক ভাই এর হাতে ভোজালি কোপ বসিয়ে দেয়। আমার পায়েও আঘাত করে চলে যায়। বাইকে করে ১২-১৫ জন যুবক তান্ডব চালায় চান্দা কম্পানি এলাকায়। আমাদের এলাকার সব মানুষ এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবত তৃণমূল এর এই নেতা এবং তার লোকজন অশান্তির পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। এলাকার মানুষ আতঙ্কিত, তাই দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আমাদের পথ অবরোধ।
এব্যাপারে ওয়াসাবাড়ি তথা জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূল এর জেনারেল সেক্রেটারী রাজু সাহী বলেন, সব মিথ্যা কথা বলছে রাজেস ছেত্রী। শুক্রবার আমি আমার কাজে বাইরে ছিলাম। আমি জানতে পেরেছি, শুক্রবার রাতে ওয়াসাবাড়ি এলাকায় এক অনুষ্ঠানে চান্দা কম্পানির এক ভাই এসেছিলো। রাতে আমার দলের ছেলেরা ওই ভাইকে পৌছাতে গিয়েছিলো চান্দাকম্পানী। তখনই রাজেস ছেত্রীর লোকজন আমার ছেলেদের মারধোর করে। পাশাপাশি যে ভাইকে চান্দা কম্পানীতে পৌছাতে গিয়েছিলো তার মাকে খুব মেরেছে রাজেস ছেত্রী এবং তার লোকজন। এব্যাপারে শনিবার আমরা মালবাজার থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। আসলে রাজেশ ছেত্রী একজন আর এস এস এর লোক। সে তৃণমূল এর গ্রাম পঞ্চায়েত ভেঙ্গে দিতে চাইছে আর এখানে বিজেপি আনতে চাইছে। এব্যাপারে আমি এর ব্লক সভাপতি কে সব জানিয়েছি।
এব্যাপারে তৃনমুল এর ব্লক সভাপতি তমাল ঘোষ বলেন, দুই পক্ষই তৃণমূল। এখানে বিজেপি কেউ নেই। এই বাগ্রাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতে মাঝে মধ্যেই ঝামেলা হচ্ছে। এব্যাপারে উর্ধতন কতৃপক্ষকে সব জানিয়েছি। পুলিশের সাথে কথা বলে রোড ব্লক খুলে দেওয়া হয়। প্রায় ১ ঘন্টা রোড অবরোধ ছিলো।
উল্লেখ্য বেশ কিছুদিন যাবৎ বাগ্রাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকায় তৃণমূল দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা চলছেই, কোন ভাবেই ঝামেলা থামছে না। আর শুক্রবার রাতে রক্তারক্তি ঘটে। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ বাহিনী।