জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৭ই ফেব্রুয়ারী ২০২১ : রবিবার : রবিবার হলেই গাজোলডোবায় দেখতে পাওয়া যায় পর্যটকদের ঢল। আর বেশিভাগ পর্যটকই গাজোলডোবায় আসে নৌকায় করে নদীতে ঘুরে বেড়াতে এবং পাখি দেখতে। ইতিমধ্যে পর্যটন দপ্তর পর্যটকদের সুরক্ষার কথা ভেবে মাঝিদের লাইফ জ্যাকেটের ব্যাবস্থা করেছে। যাতে পর্যটকেরা নৌকায় উঠলেই লাইফ জ্যাকেট পরে।
রবিবার দিন দেখা গেলো কোন পর্যটকই লাইফ জ্যাকেট পড়েনি। নৌকার মধ্যে গাদাগাদি করে পর্যটকেরা তিস্তার জলাশয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাতে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এদিন গাজোলডোবার নৌকাঘাট গুলো ঘুরে দেখেন হিমালয়ান হসপিটালিটি আন্ড টুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটোয়ার্কের এডভাইজার সম্রাট সান্যাল। তিনি বলেন, এই ভাবে লাইফ জ্যাকেট ছাড়া নৌকায় ঘুরাঘুরি করা ঠিক নয়। যেখানে পর্যটন দপ্তর থেকে লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয়েছে। সেখানে কেন পর্যটকদের বিনা লাইফ জ্যাকেটে নৌকায় ঘোড়ানো হচ্ছে। এমাসের ১১-১২ তারিখ এই এলাকার বোটম্যান অ্যাসোসিয়েশন এর সেক্রেটারীসহ কিছু মাঝিদের নিয়ে একটি মিটিং হবে। সেখানে বোটম্যানদের বলা হবে, যাতে বোটে উঠতে গেলেই পর্যটকদের লাইফ জ্যাকেট পড়তে হবে। পাশাপাশি এলাকা যাতে সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয় সেদিকেও নজর রাখতে হবে। এ ব্যাপারে এলাকার ব্যবসায়ী এবং বোট ম্যানদের সাথে কথা বলেছেন সম্রাট বাবু। তিনি বলেন, কিছুদিনের মধ্যে এখানে বেশকিছু ডাষ্টবিন রাখার ব্যাবস্থা করা হবে, যাতে সবাই নোংড়া আবর্জনা ডাষ্টবিনেই ফেলে। এছাড়া পর্যটন দপ্তরের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যাতে দ্রুত এলাকায় পর্যটকদের জন্য পে-টয়লেটের ব্যাবস্থা করা।