জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১০ই ফেব্রুয়ারী ২০২১ : বুধবার : অবশেষে মঙ্গলবার রাত সাড়ে এগারোটার সময় গুরুতর আহত চিতাবাঘটিকে ট্র্যাঙ্কুলাইস করে লাটাগুড়ি এন আই সি তে নিয়ে যায় বন আধিকারিকেরা। প্রায় চার ঘন্টা আহত অবস্থায় রাস্তার পাশে ঝোপের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছিলো বিরাট চিতাবাঘটি।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ মালবাজার মহকুমার রাঙ্গামাটি চা-বাগানের কাছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি ছোট গাড়ির ধাক্কায় আহত হয় এই চিতাবাঘটি। মালবাজারের পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্য স্বরুপ মিত্র এবং স্পোরের সম্পাদক শ্যামা প্রসাদ পান্ডে বলেন, চিতাবাঘটি রাঙ্গামাটি চা-বাগানের দিক থেকে ৩১ নাম্বার জাতীয় সড়ক পার করে একটি ঝোপের দিকে যাবার সময় একটি গাড়ি দ্রুতগতিতে এসে এই চিতাবাঘ টিকে ধাক্কা মেরে চলে যায়। রাস্তার মাঝে খানেই গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকে চিতাবাঘটি। এক সময় রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে গাড়ি শব্দে কোন রকম দুপায়ে ভর দিয়ে রাস্তার পাশে ঝোপের মধ্যে চলে যায় চিতাবাঘটি। যন্ত্রনায় ছটপট করছিলো চিতাটি। দেখে মনে হচ্ছিল চিতাবাঘটি কোমড়ে গুরুতর চোট লেগেছে। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনা স্থলে ছুটে আসে মালবাজার ওয়াইল্ড লাইফের কর্মিরা, মালবাজার পুলিশ, স্পোরের সম্পাদক শ্যামা প্রসাদ পান্ডে এবং মালবাজার পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্য স্বরুপ মিত্র। রাতেই চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করার জন্য জলপাইগুড়ি থেকে ছুটে আসে বন দপ্তরের পশু চিকিৎসক এবং ট্র্যাঙ্কুলাইস টিম।
বহু কষ্টে দুই ডোজের ঘুমপাড়ানি গুলি করে কাবু করা হয় চিতাবাঘটিকে। মালবাজার ওয়াইল্ড লাইফের রেঞ্জার দীপেন সুব্বা বলেন, অনেক কষ্টে চিতাবাঘ টিকে ট্র্যাঙ্কুলাইস করে খাচা বন্দি করি এবং রাতেই লাটাগুড়ি এন আই সি তে নিয়ে যাই চিতাবাঘটিকে। সেখানেই চিকিৎসা চলবে চিতাবাঘটির। পাশাপাশি ঘাতক গাড়ির খোজ চালাচ্ছি আমরা। পরিবেশ প্রেমীদের দাবী জাতীয় এবং রাজ্য সড়কে দ্রুত গতিতে গাড়ি চলাচলের জন্য, মাঝে মধ্যেই বন্য জন্তুদের প্রান যাচ্ছে বা আহত হচ্ছে।