জলপাইগুড়ি : ১২ই ফেব্রুয়ারী ২০২১ : শুক্রবার : বাম ও কংগ্রেসের বনধকে ঘিরে ধুমধুমার জলপাইগুড়ি জেলা আদালত চত্তর৷ অভিযোগ বনধকারীরা তৃণমূল পন্থী আইনজীবীদের শারিরীক ভাবে হেনস্থা করেছে৷ বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তৃণমূলের লিগ্যাল সেলের পক্ষ থেকে কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করার হবে। সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বন্ধ সমর্থনকারীদের পক্ষ থেকে৷ বৃহস্পতিবার কোলকাতায় বাম কর্মীদের ওপর পুলিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আজ গোটা রাজ্যের সাথে ১২ঘন্টার বাংলা বন্ধ হচ্ছে জলপাইগুড়ি জেলাতেও।
সকাল থেকে বিভিন্ন বাস ডিপোতে, সরকারী অফিস, আদালতের গেটে বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা বন্ধের সমর্থনে পিকেটিং করছিল। সকাল ১০.৩০ মিনিট নাগাত বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা পিকেটিং করছিল জেলা আদালতের গেটে৷ সেখানেই আদালতে তৃণমূল পন্থী আইনজীবীরা আদালতে প্রবেশ করতে গেলে তৃণমূল পন্থী আইনজীবীদের সাথে বন্ধ সমর্থনকারীদের সাথে ব্যাপক বচসা হয়৷ তৃণমূল পন্থী আইনজীবীদের অভিযোগ তাদের শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে৷
জলপাইগুড়ি আদালতের তৃণমূল পন্থী আইনজীবী সোমনাথ পাল বলেন, এর আগে প্রচুর বন্ধ হয়েছে কিন্তু আজকের মতো ঘটনা আগে কখনো হয়নি। আমাদের দাবী পুলিশকে অবিলম্বে বন্ধকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। অন্যদিকে সিপিএম এর জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য বলেন, আমরা কাউকে শারিরীক ভাবে হেনস্থা করিনি। আমরা শুধু পিকেটিং করেছি। কেউ অভিযোগ করতেই পারে সেটা আদালতে প্রমান হবে। কোথাও কোথাও বাজার খোলা হয়েছে। কোথাও আবার বন্ধ ছিল। বামেদের ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধে মিশ্র প্রভাব দেখা গেল জলপাইগুড়ি শহরে। বনধকে ঘিরে যাতে কোথাও কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় এজন্য জলপাইগুড়ি শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকার প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের সামনে অসংখ্য বনধ সমর্থকদের মিলিত বিক্ষোভ দেখা যায়। শুক্রবার সকাল থেকে প্রচুর মানুষ নিজের কাজের প্রয়োজনে রাস্তায় বেরিয়েছেন। বেশকিছু জায়গায় দোকানপাট খোলা থাকলেও বেশিরভাগ দোকান বন্ধ দেখা যায়। বেলা বাড়ার সাথে বনধের প্রভাব কিছুটা কমতে দেখা যায়। অন্যদিকে সমস্ত দোকান পাট, হাট বাজার খোলা রয়েছে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন ডেংগুয়াঝার বাজার এলাকায়।