জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ১২ই ফেব্রুয়ারী ২০২১ : শুক্রবার : করোনা আবহ পেরিয়ে দীর্ঘ কয়েক মাস পর শুক্রবার রাজ্য জুড়ে খুলল স্কুল। সরকারী নির্দেশ অনুসারে কোভিড বিধি মেনে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের স্কুলের পঠন-পাঠন স্বাভাবিক করা হবে বলে ইতিপূর্বে জানিয়েছেন রাজ্য সরকার। সেই মোতাবেক ১২ ফ্রেব্রুয়ারী ঠিক করা হয়েছে স্কুল খোলার দিনক্ষণ। তার আগেই রাজ্যের সমস্ত স্কুলে চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রস্তুতি নেওয়া হয় পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে। সমস্ত রকমের স্বাস্থ্যবিধি এবং নির্দেশিকা মেনে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর স্কুল খুললেও শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের বেশিরভাগ স্কুলের চরিত্রটাই ছিল অনভিপ্রেত।
স্কুল খোলার আগে পড়ুয়াদের স্কুল খোলা নিয়ে অধীর আগ্রহ দেখা দিলেও এদিন ব্লকের বিভিন্ন স্কুলে পড়ুয়াদের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। যার ফলে স্বাভাবিক স্বল্প সংখ্যক পড়ুয়া নিয়ে চলল ক্লাস। একদিকে রাজ্যের স্কুল গুলিতে পড়ুয়াদের অনুপস্থিতির অন্য কারন দেখছেন বিশেষজ্ঞ মহল। উল্লেখ্য, গতকাল বাম ছাত্র যুবদের নবান্ন অভিযান ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। এর প্রতিবাদে শুক্রবার বাংলা বন্ধের ডাক বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের। যার প্রভাব পড়ুয়াদের স্কুল খোলার মুখেই বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো বলে মত অনেকের। যদিও এদিন শহরে বন্ধের প্রভাব পড়লেও গ্রামের বেশিরভাগ স্কুলেই তেমন প্রভাব পড়েনি। গ্রামের বেশিরভাগ স্কুলেই পঠন-পাঠন স্বাভাবিক ছিল।
তা সত্বেও এদিন স্কুল শুরুতেই সিংহভাগ পড়ুয়াদের অনুপস্থিতি নিয়ে জোর জল্পনা দেখা দিয়েছে জেলাজুড়ে। যদিও স্কুল খোলা নিয়ে বছরের শুরু থেকেই দাবী জানিয়েছেন স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবক মহল। শুক্রবারের বহু প্রতিক্ষিত চেনা ছবির রঙ শুরুতেই যেন ফ্যাকাশে হয়ে পড়লো। তবে এবিষয়ে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক ছন্দ ব্যাহত হয়েছে। দু-এক দিন স্কুল চলতে থাকলে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার স্বাভাবিক হবে বলেও আশাবাদী তারা।
