জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১৩ই ফেব্রুয়ারী ২০২১ : শনিবার : রাজ্যের বিধানসভা ভোট সমাগত প্রায়। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা। কিছু দিনের মধ্যে ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষিত হতে পারে। এই ভোটের প্রাক্কালে ডুয়ার্সের মাল ব্লকের নিউগ্লেনকো চা বাগানে “নো রোড নো ভোট” স্লোগান উঠলো। এই স্লোগান তুলে চা বাগান থেকে জাতীয় সড়ক পর্যন্ত মিছিল করল তৃনমুল কংগ্রেস প্রভাবিত সংগঠন “তৃনমুল কংগ্রেস চা মজদুর ইউনিয়ন” ও আদিবাসী বিকাশ পরিষদ প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের ওই চাবাগানের শ্রমিকরা।
জানাগেছে, ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ওভারব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এই চা-বাগানের প্রবেশ মুখ। সেখান থেকে বেতগুড়ি চা-বাগানের সীমানা পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার চা-বাগানের প্রধান যাতায়াতের রাস্তাটি কাচাই রয়ে গেছে। বহু আশ্বাসের পরেও রাস্তাটি পাকা হয়নি। শ্রমিকদের যাতায়াতের প্রচন্ড সমস্যা হয়। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে শ্রমিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাস্তা পাকা না হওয়া পর্যন্ত এই চা-বাগানে ভোট নেই। ওই চাবাগানের শ্রমিক জাস্টিন কেরকেট্টা বলেন, আমরা বহুদিন ধরে শুনে আসছি আমাদের এই রাস্তা পাকা হবে। এর আগে বহুবার প্রতিশ্রুতি অনেকে দিয়েছে। আশেপাশের চা-বাগানের রাস্তা পাকা হলেও আমাদের এই প্রধান রাস্তা পাকা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তার দাবিতে মিছিল করছি। আগে রাস্তা হবে, পরে ভোট দেবো”।
ওই চাবাগানটি রাঙ্গামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত। রাঙ্গামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অশোক চিকবরাইক বলেন, আমাদের এই গ্রাম পঞ্চায়েতের সব চা-বাগানের রাস্তা পাকা হয়েছে। শুধু ওই চা-বাগানের রাস্তাটি পাকা হয়নি। এজন্য বিধায়ক নিজে উদ্যোগ নিয়েছেন। কিছুদিন আগে এখানে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথোরিটির চেয়ারম্যান বিজয় চন্দ্র বর্মন এসেছিলেন। আমরা তার কাছে ওই রাস্তার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছি। তিনিও আশ্বাস দিয়েছেন রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে দ্রুত রাস্তা হয়।
এনিয়ে মালের বিডিও বিমানচন্দ্র দাস বলেন, এজাতীয় কোন দাবী জানিয়ে কোন লিখিত দাবীপত্র আসেনি। তবে শুনেছি। ওখানে রাস্তার পরিস্থিতি দেখে অবশ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব জায়গায় যখন রাস্তা হচ্ছে তখন ওখানেও হবে। তবে বলব রাস্তার সাথে ভোটের বিষয় মিলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। ভোট একটা গনতান্ত্রিক অধিকার। সবার প্রয়োগ করা উচিত। আমরা ওখানে গিয়ে মানুষদের বোঝাবো।