21.5 C
New York
Thursday, June 19, 2025

Buy now

spot_img

সরস্বতীর পূজোর গভীর রাতে অজানা শব্দে আতঙ্কিত পড়ুয়ারা, আতঙ্ক এলাকা জুড়ে।

মালদা : ১৯শেই ফেব্রুয়ারী ২০২১ : শুক্রবার : মধ‍্যরাতে বিদ‍্যালয় শোনা যাচ্ছে গমগম শব্দ৷ কখনও মনে হচ্ছে, কেউ পায়ে নুপুর পায়ে হেঁটে চলেছে স্কুলের বারান্দায়, চলছে নৃত‍্য। কখনও প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের আর্তনাদের শব্দ, কখনও বা একসঙ্গে একাধিক পদচারণা। পূর্বে স্কুলের এক অস্থায়ী কর্মী নাকি ওই ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন৷ এবার সরস্বতী পুজোয় এর সাক্ষী স্কুলের কয়েকজন পড়ুয়ারা৷ তারা সেই আওয়াজ মোবাইল বন্দি করে বলে জানাযায়। তারপর থেকেই আতঙ্কিত পড়ুয়ারা সহ গোটা এলাকায়৷ যদিও স্কুলের গায়ে ভূতের তকমা মানতে নারাজ স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ এসব ছাত্রদেরই মজা, মন্তব্য পঞ্চায়েতের উপপ্রধানেরও৷ এমন রহস‍্যকর ঘটনাটি মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদা হাইস্কুলের৷ সরস্বতীপুজো উপলক্ষ্যে কয়েকদিন আগে স্কুলেই রাত কাটিয়েছিল জনাকয়েক ছাত্র৷ গভীর রাতে তারা শুনতে পায়, স্কুলের বারান্দা দিয়ে কেউ নুপুর পায়ে হেঁটে যাচ্ছে৷ তারা সেই আওয়াজ ফোনে রেকর্ডিং করে পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয় বলে জানায়। তাদের দাবী, স্কুলে ভূত রয়েছে৷

একই দাবী স্কুলের অস্থায়ী কর্মী মকসুদ আলির৷ স্কুলের অস্থায়ী কর্মী মকসুদ আলি জানান, গভীর রাতে এখানে মেয়েদের পায়ের নুপুরের আওয়াজ শোনা যায়৷ মনে হয় নুপুর পায়ে মেয়েরা বারান্দা দিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে৷ কখনও ছেলের গলায় কান্নার আওয়াজও শোনা যায়৷ রাত ১২টার পর যে কেউ স্কুলে এলে তা শুনতে পাবে৷ সরস্বতীপুজোয় রাত কাটাতে এসে ছেলেরাও এর সাক্ষী থেকেছে৷ রাত আটটার পর স্কুলে ঢুকতে ভয় লাগে৷ বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ জেনেছে৷ যদিও প্রধান শিক্ষক মহম্মদ হাসিব জানিয়েছেন, সরস্বতীপুজোয় স্কুলে রাত কাটাতে এসে ছাত্রদের কেউ হয়তো এনিয়ে মজা করেছে৷ তারা অন্য কোথাও এমন শব্দ রেকর্ডিং করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে৷ আমরা এর তদন্ত শুরু করেছি৷ এনিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই৷ এর আগে স্কুলে ভোটকর্মীরা রাত কাটিয়েছেন৷ বন্যার সময় প্রায় এক সপ্তাহ স্থানীয় মানুষজন স্কুলে ছিল৷ এছাড়াও রাতে স্কুলে অনেক অনুষ্ঠান হয়েছে৷ কখনও এসব নিয়ে কোনও কিছু শোনা যায়নি৷ আমরা পড়ুয়াদের আতঙ্ক কাটানোর চেষ্টা করছি৷ প্রয়োজনে বিজ্ঞান মঞ্চকেও কাজে লাগানো হবে৷ একই বক্তব্য কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ নুর আজমের৷ তিনিও জানান, করোনা আবহে এই স্কুলেই কোয়ারান্টিন সেন্টার খোলা হয়েছিল৷ তখন তাঁরাও গভীর রাত পর্যন্ত স্কুলে থাকতেন৷ ভোটের সময় ভোটকর্মী, নিরাপত্তা রক্ষীরা স্কুলেই রাত কাটান৷ কেউ কখনও এসব দেখতে পাননি৷ গ্রামবাসীরাও এনিয়ে কখনও কোনও অভিযোগ করেননি৷ সম্ভবত ছাত্ররা মজা করার জন্যই এসব করেছে৷

বিজ্ঞান মঞ্চের তরফে পরিদর্শন করা হবে স্কুলে। এছাড়াও স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত, প্রমান হলে আইনত ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কি রয়েছে ঘটনার পেছনে? চুলচেরা বিশ্লেষনে তা তদন্তে মরিয়া স্কুল কর্তৃপক্ষ।

সম্পর্কিত খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

22,878FansLike
3,912FollowersFollow
14,700SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

সাম্প্রতিক খবর

error: Content is protected !!