জলপাইগুড়ি : নাগরাকাটা : ২০শে ফেব্রুয়ারী ২০২১ : শনিবার : “বাংলার মানুষ বাংলার মেয়েকেই চায় বহিরাগতদের নয়” শনিবার ডুয়ার্সের নাগরাকাটায় ইউরোপিয়ান ক্লাবের ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভা থেকে এই স্লোগানকে সামনে রেখেই বক্তব্যের সুচনা করলেন, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। শনিবার দুপুর ২.৩০ মিনিট নাগাদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌছয়, সেখান থেকে হেলিকপ্টার যোগে ৩ টা নাগাদ নাগ্রাকাটা ইউরোপীয়ান ক্লাবের মাঠে এসে নামেন।
প্রখর সুর্য্যের আলোয় মাঠে তখন লক্ষাধিক মানুষের উচ্ছ্বাস। সবাই অভিষেককে স্বাগত জানাতে উঠে দাড়ান। প্রবল উচ্ছ্বাস ও উদ্দিপনার মধ্য দিয়েই মঞ্চে উঠে আসেন। মঞ্চে তাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যানী, জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জি সহ অন্যান্য নেতৃবর্গ। সভার শুরুতেই সৈকত চ্যাটার্জি দলত্যাগী বিধায়ক শুক্রা মুন্ডাকে মীরজাফর বলে অভিহিত করে বলেন, ডুয়ার্সের মাটিতে কোন মানুষ নিজের ছেলের নাম শুক্রা রাখবে না। এরপর সভার সঞ্চালক সৈকতবাবু মাইক্রোফোন তুলে দেন রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের হাতে।
মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে প্রথমেই রাজ্যের মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মুখ দিয়ে দলের যে স্লোগানের সুচনা করা হয় সেই স্লোগান “মানুষ বাংলার মেয়েকে চায় ” উচ্চারণ করে অভিষেকবাবু তার বক্তব্যের সুচনা করেন। এরপর বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। তিনি বলেন, বাংলা তার মেয়েকেই চায়, বহিরাগতদের নয়। সাগর থেকে পাহাড় সর্বত্র মানুষ বাংলার মেয়েকেই চাইছে। ওরা বলছে সোনার বাংলা গড়বে আগে সোনার গুজরাট, সোনার ত্রিপুরা, সোনার আসাম গড়ে দেখাক তারপর সোনার বাংলা গড়ে দেখাবে। বিজেপির মিথ্যাচার বাংলার মানুষ রুখে দেবে। দিল্লির অন্যায়ের বিরুদ্ধে একাই লড়ছেন বাংলার মেয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই মেয়েকে কি আপনারা চান না?
শুধু দিল্লির নেতাদের নয়, বিজেপির রাজ্যের নেতাদের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়ে বলেন, ওরা মা দুর্গাকে শ্রদ্ধা জানায় না। মা দুর্গাকে অসম্মান করে ওরা বাংলার সংস্কৃতি কিভাবে বুঝবে? শুধু নেতাদের সমালোচনাই নয়, পেট্রোপন্যের ক্রমাগত বৃদ্ধি প্রসঙ্গে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেন। পরিশেষে বলেন, এই নাগরাকাটায় স্থানীয় ভুমিপুত্রকে প্রার্থী করা হবে আমরা স্থানীয়দেরই গুরুত্ব দেব। এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শান্তুনু সেন, জেলা সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যানী, জেলা পরিষদের সহ সভাপতি দুলাল দেবনাথ, শ্রমিকনেতা অলোক চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী, সৌরভ চক্রবর্তী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। এদিনের সভায় একাধিক জেলার থেকে লক্ষাধিক মানুষ সভাস্থলে সমবেত হয়েছিলেন।