জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ২১শে ফেব্রুয়ারী ২০২১ : রবিবার : করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক পুনরায় জম জমাট মেলা হতে চলেছে জল্পেশ মন্দিরে। প্রসঙ্গত করোনার অতিমারীর কারনে গত শ্রাবণ মাসের শ্রাবনী মেলা কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অবশেষে ফাল্গুন মাসের ফাল্গুনী মেলার অনুমতি মিলেছে বলে জল্পেশ মন্দির সূত্রে খবর। তবে অনুমতি মিললেও থাকছে বেশ কিছু বিধি নিষেধ। উত্তরবঙ্গের প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক শৈব তীর্থ ময়নাগুড়ির জল্পেশ মন্দির। আগামী ১১ মার্চ থেকে শুরু হবে জল্পেশ মেলা। গত বছর গুলির মতোই এবছরও অনুমতি নিয়েই মেলা বসবে বলে খবর। জানা যাচ্ছে টানা দশদিন ব্যাপী চলবে এই মেলা, চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। তবে প্রতি বছরের মতো এবছর হবে না আনুষ্ঠানিক মেলার উদ্বোধন। এমনকি পুণ্যার্থীদের মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে থাকছে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা। মাস্ক ছাড়া কোনো অবস্থাতেই মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি মিলবে না বলে জানানো হয়।
জল্পেশ মন্দির ট্রাস্ট্রি বোর্ডের সভাপতি গিরেন্দ্রনাথ দেব বলেন, মেলার অনুমতি পেয়েছি। মেলা দশদিন ব্যাপী চলবে। তবে আনুষ্ঠানিক মেলার উদ্বোধন এবং সরকারি স্টল এবার থাকছে না। মাস্ক ছাড়া মন্দিরে প্রবেশ একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সদস্য গোবিন্দ রায় বলেন, আমাদের ইতিমধ্যে জেলা পরিষদের বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় যে মেলা দশদিন ব্যাপী হবে। নির্বাচনের কারনে কোনো সরকারী কোনো স্টল থাকবে না। নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি এবং অন্যান্য বিষয় গুলি জেলা পুলিশ দেখবেন।
জল্পেশ মন্দির এবং মেলায় যাতে কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এই বিষয়েও তৎপর রয়েছেন জেলা পুলিশ। ইতিমধ্যে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি বৈঠক করে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য মন্দির সহ মেলা চত্বরে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। মোতায়েন থাকবে পুলিশ সহ সিভিক ভলান্টিয়ার। এই বিষয়ে ময়নাগুড়ি থানার আইসি ভূষণ ছেত্রী বলেন, স্পেশাল পুলিশ থাকবে। মেলার নিরাপত্তার বিষয়টি খুব আঁটোসাঁটো করা হবে।