মালদা : ২৭শে ফেব্রুয়ারী ২০২১ : শনিবার : এইবার ইংরেজবাজার থানার আইসির Closed User group মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ উঠল। এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা পুলিশ মহলে। আর তা দেখে তড়িঘড়ি শনিবার বিকেলে ইংরেজবাজার থানার আইসি তার নিজস্ব রুমে বসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভুল তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে এবং সেই তথ্য আমাদের থানার Grup নাম্বার ব্যবহার করা হয়েছে ও তার সাথে আরেকটি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে এটা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। এরকম আমরা কোন তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দিইনি।
এটা জেলা পুলিশের নামে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে পাশাপাশি পুলিশের কাজে মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে এই বিষয়ে এই তথ্য আমরা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পাওয়ার পরই জেলা সাইবারক্রাইম থানাতে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানিয়েছি এবং লিখিত অভিযোগ করেছি এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। শনিবার বিকেলে ইংরেজবাজার থানার আইসি মদন মোহন রায় থানায় বসেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, তিনি আজ বিশেষ কাজে যাচ্ছিলেন, তখনই তার মোবাইলে এরকম একটি তথ্য তিনি দেখতে পান, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে তথ্য লিখে ছাড়া হয়েছে সেটি হল (আমাদের সুস্থ সমাজের এই লোকগুলি হল বড় ক্রিমিনাল শয়তান তোলাবাজ ল্যান্ড মাফিয়া। এরা বিহার ঝাড়খন্ড থেকে বহু ক্রাইম লুট চিটফান্ড করে। মালদায় একজন নেতার ছত্রছায়ায় থেকে আমাদের সমাজের বহু মানুষের উপর দিনের-পর-দিন নির্বিচারে অত্যাচার করেছে। এরা গায়ের এবং অস্ত্রের জোরে আপনাদের বাড়ীর ইয়ং ছেলেগুলোকে বিভিন্ন ভাবে ক্রিমিনাল এ পরিণত করছে। তাই সকলে সাবধান হোন। non-bailable কেসে এদের পুলিশ সিআইডি খুজছে। তাই আমরা তাদের সহযোগিতার জন্য জানাচ্ছি যারা এনাদের খোঁজ দেবে তাদের সাত লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে। আসুন সকলে মিলে এই ক্রিমিনালদের সমাজ-ছাড়া করি যোগাযোগ 7001198651, 9083270308; ভুয়া তথ্যে যে চারজন অপরাধীর নাম দেওয়া হয়েছে তারা হলেন সন্তোষ সিং ,অমর দীপ, জিনিয়াস যাদব, অমিত সাহা; এদের যারা খোঁজ দেবে তাদেরকে ৭ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
ইংলিশবাজার থানার আইসি মদন মোহন রায় জানান, মানুষের কাছে আমাদের খারাপ করার জন্য এরকম সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্য কে বা কাহারা ছড়িয়েছে আমরা এই তথ্য বিষয়ে কোনো রকম ভাবে জানি না। আমাদের থানার থেকে কোন রকম সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সমস্ত তথ্য ভাইরাল করা হয়নি। যারা এটা করেছে তারা পরিকল্পিত ভাবে এ কাজটি করেছে। যাদের ছবি এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তাদেরকে আমরা চিনি না। পুলিশের মাধ্যমে যারা এই সমস্ত তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা এই বিষয়ে সাইবারক্রাইম থানা কে জানিয়েছি এবং খুব শীঘ্রই আমরা এর তদন্তে নেমে সত্যটা সামনে তুলে আনব।