জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৭শে ফেব্রুয়ারী ২০২১ : শনিবার : যত দিন যাচ্ছে শীতের আমেজ কমছে। তারপর বহু দিন যাবত হয়নি বৃষ্টি। আর এই সব কারনে নদী নালার জল শুকিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে সব থেকে বড় সমস্যায় পড়েছে মালবাজার ব্লকের চেল কলোনী, দেবীপাড়া এবং হিম্মত কলোনী এলাকার মানুষেরা। এই সব এলাকায় কোন বাড়ির কুয়োতেই জল নেই। কারো বাড়ির কুয়োতে এক হাত জল আছে, আবার কারও বাড়িতে একদমই জল নেই। আর এতেই জল সঙ্কটে পড়েছে এলাকায় কয়েকশো মানুষ।
এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণ ঘোষ, অমরজিৎ ঘোষ, বেবী সরকারদের বক্তব্য, গ্রামের পাস দিয়ে বয়ে গেছে চেল নদী। বর্তমানে চেল নদীতে নেই জল। কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী চেল নদীর বিভিন্ন জায়গায় জেসিপি দিয়ে খুরে বালি পাথর তুলছে। আর এতেই নদীর বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। এলাকার জলের স্তর নিচে নেমে ওই সব বড় বড় গর্তে জমা হচ্ছে। সেই কারনে এলাকার বিভিন্ন বাড়ির কুয়োর জল শুকিয়ে গেছে। তাই এলাকার মানুষ জল কষ্টে ভুগছে। গ্রামের মহিলা কাঞ্চন বালা রায়, ঝর্না সরকারদের বক্তব্য, বর্তমানে যা অবস্থা যে জল কিনে খেতে হচ্ছে। এখনও সেই ভাবে গরম পড়ে নি। তাতেই কুয়োর জল শুকিয়ে গেছে।
অবিলম্বে চেল নদীর খনন বন্ধ না হলে চরম বিপদে পরবো আমরা। পুরো এলাকায় তীব্র জল সংকট দেখা দেবে। চেল নদীর আপার স্টিম থেকে ডাউন স্টিম সর্বত্র এলাকা জুড়ে নদীর বুকে বড় বড় গর্তে করে অবাধে চলছে বালি পাথর তোলার কাজ, দেখার কেউ নেই। আর এই সব ব্যাবসায়ীদের জন্য জল কষ্টে ভুগছে এলাকার বহু মানুষ। এব্যাপারে মালবাজারে রেভেনিউ অফিসার বলেন, এই ভাবে জেসিপি দিয়ে নদী খোড়া বেয়াইনি। এর মধ্যেই আমরা অভিযান চালাবো।