মালদা : ১লা মার্চ ২০২১ : সোমবার : খবরের জেরে অবশেষে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হাতে পেল ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুর পরিবার। পাশে দাঁড়ালো তৃণমূল নেতা। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল দরিদ্র পরিযায়ী শ্রমিক পিতা। অর্থাভাবে ভুগছিল পরিযায়ী শ্রমিক বিষ্ণু দাস, এর মধ্যে নাবালক শিশু পুত্রের ক্যান্সার ধরা পড়ে। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার পিপলা গ্রামের বাসিন্দা বিষ্ণুদাস। ছেলের চিকিৎসার জন্য মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছে। সেই সময় পাশে পাননি কাউকেই। খবরে প্রচার হওয়ার পর অবশেষে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান। সমগ্র লক ডাউনে এমনিতেই ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকরা। এরকমই এক পরিযায়ী শ্রমিক হলেন বিষ্ণু দাস। ভিন রাজ্যে কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরে ছোটো-খাটো কাজ করে পরিবারের মুখে দু- বেলা দু মুঠো অন্ন তুলে দিচ্ছিলেন তিনি। এর মধ্যে আরও এক বিপর্যয় নেমে এলো এই পরিবারটিতে। ছেলের ডান কানে ধরা পড়লো ক্যান্সার। এই দুঃসময়ে কীভাবে চিকিৎসা করাবেন তা ভেবেই দিশেহারা বিষ্ণু দাস। না আছে অর্থ আর না আছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড।
এই বিপর্যয়ের মধ্যে সবাই যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন মালদা জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান। খবর পাওয়া মাত্রই বিডিও সাহেবের সঙ্গে কথা বলে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ব্যবস্থা করেন তিনি। এরপর বিডিও অনির্বাণ বসুর তৎপরতায় খুব দ্রুতই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হাতে পেয়ে যান বিষ্ণু দাস। বুলবুল খান এই পরিবারটির সাথে দেখা করে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, এছাড়াও ভবিষ্যতে কেমোথেরাপির জন্য যে খরচ হবে তার দায়িত্বও তিনি বহন করবেন বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। এইদিন তিনি নিজ খরচে নিজ দায়িত্বে পরিবারটিকে মালদা নিয়ে যান। মালদা জেলা শাসকের অফিস থেকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ব্যবস্থা করে দেন। অর্থাভাবের সময় কীভাবে চিকিৎসা করাবেন তা ভেবেই আকুল হয়ে ছিলেন বিষ্ণু দাস। অবশেষে পরিত্রাতা হয়ে এলেন জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান।
মালদা জেলার তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান তার বক্তব্যে বলেন, সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা আমি খবরটি জানতে পারি। কয়েকদিনের মধ্যে বিডিও সাহেবের সাথে কথা বলি। আজ মালদা ডি এম অফিসে এসেছি। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটা হয়ে গেছে। আমি আমার তরফ থেকে কিছুটা আর্থিক সাহায্য করেছি। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পাঁচ লাখ পর্যন্ত সাহায্যের কথা বলা আছে। এরপর যা যা লাগবে সেই সব বিষয়ে আমি আমার তরফ থেকে যথাসম্ভব চেষ্টা করব। কেমোথেরাপির যা খরচ লাগে সেটাও আমি দেখবো।
বিষ্ণু দাস জানান, আমার সাথে বুলবুল দা এসেছিল। ওনার সহায়তায় স্বাস্থ্য সাথী কার্ডটা পেয়ে গেছি। বুলবুল দা জানিয়েছে পরবর্তী খরচ খরচাতেও সাহায্য করবে। ধন্যবাদ জানাই বুলবুলদা ও বিডিও সাহেব এবং তার সাথে মুখ্যমন্ত্রী দিদিকে।
ক্যান্সারের মতো দূরারোগ্য ব্যাধি তাবড় তাবড় লোককে নুইয়ে দেয় সেখানে এই পরিযায়ী শ্রমিকের তো ভেঙ্গে পড়াই স্বাভাবিক। তবে তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খানের তৎপরতায় অনেকটাই কাজ হয়েছে বিষ্ণু দাসের। বুকে বল ফিরে পেয়েছেন তিনি। ছেলের চিকিৎসার সু-ব্যবস্থার আশ্বাস পেয়েছেন তিনি।