জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ১১ই মার্চ ২০২১ : বৃহস্পতিবার : শিব চতুর্দর্শী উপলক্ষ্যে জল্পেশে শুরু হলো পুজো ও মেলা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পুণ্যার্থীদের ভিড় দেখা গেলো মন্দির চত্বরে। আর অন্যদিকে শিব রাত্রি উপলক্ষ্যে মন্দির চত্বরে সাজসাজ রব দেখা গেলো।
এদিন সকাল থেকেই মন্দিরের সামনে পুণ্যার্থীরা ভিড় জমান। এবছর জমজমাট মেলা হতে চলেছে বলে মন্দির সূত্রে খবর। ময়নাগুড়ি তথা জলপাইগুড়ি জেলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শৈব তীর্থ হলো জল্পেশ মন্দির। আর এই মন্দিরে পুজো দিতে বছরের সব সময় পুণ্যার্থীরা আসেন দূর দূরান্ত থেকে। গত বছর করোনা মহামারীর কারনে দীর্ঘ মেয়াদী লকডাউন থাকায় মানুষ গৃহ বন্দি ছিলেন। ফলে মন্দিরে পুজো দিতে পারেন নি অনেকেই। জল্পেশ মন্দিরে বছরে তিনটি বড় মেলা হয়। ফাল্গুন মাসের ফাল্গুনী মেলা তার মধ্যে অন্যতম। কিন্তু গত বছর এই মেলা না হওয়ায় মানুষ মন্দিরে আসতে পারেন নি। তাই বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পুণ্যার্থীদের ঢল দেখা গিয়েছে মন্দির চত্বরে। এই মন্দিরে পুজো দিতে দূর দূরান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা আসেন। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি বাদেও প্রতিবেশী রাজ্য ও দেশগুলি থেকে বহু মানুষ আসেন এই জল্পেশ মন্দিরে।
তাই মন্দিরের পাশাপাশি মেলার মাঠে করা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। বসানো হয়েছে বেশ কিছু সিসিটিভি ক্যামেরা। ইতিমধ্যেই মেলায় দূরদূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা দোকান বসিয়েছেন মেলায়। মন্দির সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর যে ভাবে জল্পেশ মেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় তা নির্বাচনের কারনে সম্ভব হয় নি। তাই মেলা দশদিন ব্যাপী চললেও আনুষ্ঠানিক সূচনা পর্ব থেকে ব্রাত্য থাকছে সাধারণ মানুষ। তবে মেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যা জেলা তথ্য সংস্কৃতি দফতরের অধীন হবে। এমনকি মন্দিরে পুণ্যার্থীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক পড়া অবশ্যই জরুরী বলেও জানিয়েছেন জল্পেশ মন্দির ট্রাস্ট্রি বোর্ডের পক্ষ থেকে। জল্পেশ ট্রাস্ট্রি বোর্ডের সম্পাদক গিরিন্দ্র নাথ দেব বলেন, প্রশাসনের অনুমতিতে মেলা দশদিন ব্যাপী হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে তবে এবার নির্বাচনের কার্যকলাপের কারনে আনুষ্ঠানিক সূচনা করা সম্ভব হয়নি। মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে আমরা মাস্ক পড়া জরুরি।
নিরাপত্তার বিষয়গুলি পুলিশ প্রশাসন দেখবেন এছাড়াও আমরা আমাদের ভোলেনটিয়ার্স রেখেছি। মেলা এবছর আশা করছি ভালো হবে । কারন দীর্ঘ দিন লকডাউনের কারনে মানুষ গৃহ বন্দি ছিলেন। ফলে আমরা আশাবাদী। অন্যদিকে নিরাপত্তার বিষয়টিও বেশ আঁটোসাঁটো করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সিভিক ভোলেনটিয়ার্স সহ মেলায় মোতায়েন থাকবে বিশেষ পুলিশ বাহিনী। দমকল সহ বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকেও ক্যাম্প থাকবে মেলা চত্বরে। মেলা সহ মন্দিরের পুরো বিষয় গুলি নজরদারির জন্য বিশেষ বিশেষ জায়গায় লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এই বিষয়ে ময়নাগুড়ি থানা সূত্রে জানা যায়, নিরাপত্তা খুব আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। মেলায় মোতায়েন থাকবে বিশেষ পুলিশ বাহিনী। বিশেষ বিশেষ এলাকায় থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা।